ভৈরব থেকে: ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। যার ছোঁয়া পাওয়া গেল আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণাতেও।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র, কাউন্সিলর ও তাদের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফান পেজ খুলে নিয়মিত প্রচারণা চালাচ্ছেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় জনসংযোগ ও সভার ছবি পোস্ট করে ভোট চাইছেন তারা। তুলে ধরছেন উন্নয়নের ফিরিস্তি কিংবা নির্বাচিত হওয়ার পর নানা প্রতিশ্রুতিও। আর এতে সাড়া দিয়ে যাতে শত শত লাইকও পড়ছে, আছে কমেন্টসও। অনেক ভোটার ভার্চুয়াল জগতে প্রার্থীর কাছে তাদের চাওয়া-পাওয়ার কথাও জানিয়ে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) কথা হয় ভৈরব পৌর এলাকার ভোটার স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হাইয়ের সঙ্গে। বললেন, ফেসবুকে অনেকেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছবি আর পোস্টার দিয়ে নিজের পক্ষে ভোটও চাইছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
‘ফেসবুকে অনেক প্রার্থীর ছবি দেখেছি, আশা করি তারা এ প্রচারণায় বেশ সাড়া পাবেন,’ বলেন এই তরুণ।
ভৈরব পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফখরুল আলম আক্কাছের সমর্থকরা তার নামে ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছেন। ‘অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাস’ নামে পেজটিতে এ পর্যন্ত ৬৫৬টি লাইক পড়েছে। এখানে তার নির্বাচনী প্রচারণার ছবি ও সভার শিডিউল পোস্ট করা হয়েছে।
সেখানে মেয়র প্রার্থী আক্কাসের নির্বাচনী প্রচারণার একটি ছবি পোস্ট করেছেন তার সমর্থক আল আমিন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আজ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আক্কাস পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাতারকান্দিতে জনসংযোগ করেছেন। ’
ছবিতে বেশ কয়েকজন কমেন্টসও করেছন, দিয়েছেন লাইকও।
এছাড়া নির্বাচনকে ঘিরে আক্কাসের পুরো কর্মসূচি ও পোস্টার ফেসবুক পেজে পোস্ট করে ভার্চুয়াল জগতের ভোটার-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন তারা।
একটি ছবিতে সোহান রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লেখেন, আমরা তার সাথে আছি, থাকবো।
স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ফারজানা বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুক বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে ফেসবুকে বিভিন্ন ছবি-পোস্ট দেখে অনেকে আবার প্রাথী-সমর্থকদের নিয়ে হাস্যরসেও মেতে উঠছেন, মেহেদী হাসান লিখেছেন, নেতা আর কর্মী অনেক সুন্দর।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শাহীনের নামেও একটি লাইক পেজ খোলা হয়েছে। তার পেজটি ৫ হাজার ৭৮৭ জন লাইক করেছেন। পেজে দেওয়া বিভিন্ন ছবি ও পোস্টে কমেন্টসও পড়েছে অনেক।
১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার ও শাহিনের সমর্থক দেলাওয়ার মিয়া নামে এক এক ফেসবুক ইউজার লিখন, ‘শাহীন ভাই এগিয়ে চল , আমরা আছি তোমার পিছে। ’ অনেকে শুভ কামনা জানিয়েছেন তাকে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র তোফায়েল আলম বাংলানিউজকে বলেন, তথ্য প্রযুক্তিতে যেহেতু দেশ অনেক এগিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয়।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভৈরব পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুইজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। আর কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন ৫৫জন। সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী রয়েছেন ১৪জন।
১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৪৩৬। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ৬৮৬ এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৫০ জন।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ‘ক’ শ্রেণীর এ পৌরসভায় মোট ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা,ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এমএ/আরআই