ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

আচরণবিধি লঙ্ঘন

সত্যতা পেলে নাসিম ও ৩ এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
সত্যতা পেলে নাসিম ও ৩ এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ সরকার দলীয় তিন সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আমলে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।


 
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে মনিটরিং কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) পাঠিয়েছেন মনিটরিং কমিটির প্রধান ও উপ-সচিব ইসির রকিব উদ্দীন মণ্ডল।
 
নির্দেশনায় বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে-গত বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে শোভাযাত্রাপূর্ব এক সমাবেশে দলীয় প্রার্থীর উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ নাসিম। এ পৌরসভায় বিএনপি’র প্রার্থী মো. মোকাদ্দেছ আলীও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভোট চেয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন।
 
শেরপুরে বিজয় শোভাযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় হুইপ মো. আতিউর রহমান, রাজশাহীর তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাংসদ এনামুল হক ও নান্দাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভায় ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আবেদিন খান দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান। হুইপ ও দুই সাংসদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
 
এদিকে, বরগুনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহরে মিছিল করেন। যা আচরণবিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাকেরগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, নোয়াখালীর হাতিয়াতেও প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

রকিব উদ্দীন মণ্ডল এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, একজন মন্ত্রীসহ ও তিন এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের সত্যতা ও যথার্থতা দেখে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। একইসঙ্গে কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো তাও জানাতে বলা হয়েছে।
 
এর আগে, পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানসহ অন্তত ১২ জন এমপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলো ইসি।
 
তবে এখন পর্যন্ত কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তাই ইসিকে কোনো প্রতিবেদন দেয়নি বলে জানান রকিব উদ্দীন মণ্ডল।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২শ ৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে ৯শ ২৩ ও কাউন্সিলর পদে ১১ হাজার ১শ ২২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
ইইউডি/এসএস

** আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ইসি’র বৈঠক শনিবার
** ফোর্স থাকছে ৭০ হাজারের বেশি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।