ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ইসির

ঢাকা: ‘সরকারে যারা আছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায়িত্ব অন্যদের চেয়ে তাদের বেশি। তাই যিনি সরকার প্রধান, তারও হস্তক্ষেপ কামনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


 
রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. শাহ নেওয়াজ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, আমরা অনুরোধ করছি, সরকারে যারা আছেন, তারা যেন আমাদের সহযোগিতা করেন। যদিও নির্বাচন কমিশন আলাদা, তারপরও সরকার থাকা অবস্থায় নির্বাচন করছি আমরা। তাই সরকারের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। সেই কারণে যিনি সরকার প্রধান, তাকেও বলবো বিষয়টি দেখার জন্য।
 
তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে বা এমন কিছু করে আমাদের যেন অপ্রস্তুত করা না হয়। সরকারে যারা আছেন, তারাও যেন অপ্রস্তুত না হয়ে পড়েন। তাদের একটা ভূমিকা আগেও ছিলো, এবারও থাকবে বলেই আশা করি।
 
সন্ত্রাসীদের আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের ধরার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যবস্থা নেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
 
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ যে পরিমাণ আসার কথা ছিল, সে পরিমাণ আসছে না। আপনারা আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আমরা আপনাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবো। বিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি এড়িয়ে গেলে, সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং নেব।
 
উত্তরবঙ্গে জঙ্গি হামলা আশঙ্কার ব্যাপারে মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বর্তমানে আশঙ্কা নেই। তবে আশঙ্কা সৃষ্টি হলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
 
ভোটকেন্দ্র দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র দখলকারী যেই হোক, কাউকেই প্রশয় দেওয়া হবে না। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠিনভাবে বলে দিয়েছি, কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যেন না হয়।
 
বিএনপির পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি। নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমরা সবসময়ই সচেষ্ট। এরপরও কোনো দল যদি অভিযোগ করে, সেটা তাদের ব্যাপার।
 
আমাদের দেশে একটা নিয়ম হয়ে গেছে। অযথা নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করার চেষ্টা করেন অনেকে। তারা মনে করেন, এতে করে নির্বাচন কমিশন চাপে পড়বে। তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, আমরা কোনো ধরনের চাপ সহ্য করবো না। আমরা আমাদের মতোই চলবো- যোগ করেন মো. শাহ নেওয়াজ।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এতে মেয়র পদে ৯২৩ ও কাউন্সিলর পদে ১ হাজার ১২২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রায় ৭২ লাখ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এবারই প্রথম স্থানীয় কোনো নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।