শিবগঞ্জ থেকে: রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে যাওয়ার পথে যে চার রাস্তার মোড় তার নামই ‘ইসরাইল মোড়’। একসময় জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসযজ্ঞের জন্য কুখ্যাত এই মোড়।
শিবগঞ্জের এ মোড়ের রাস্তার পাশ দেখার জো নেই। পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচারণার পোস্টার আর ব্যানারে সড়কে ভোটের আমেজে উৎসব ভাব।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘ইসরাইল মোড়ে’ শোনা যায় ভোটের বাকযুদ্ধও। মানুষের মুখে মুখে ভোটের হিসাব। নিজেদের যুক্তি আর পরিসংখ্যানে মুখে মুখেই বলা যাচ্ছে, কে হচ্ছেন পরবর্তী মেয়র ও কাউন্সিলর।
যুক্তি থেকে বাদ যাচ্ছে না, জাতীয় রাজনীতির সমীকরণও। দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।
শিবগঞ্জ মহিলা কলেজের লেকচারার শাহ অালমের সঙ্গে কথা হলো। বললেন, এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ভোট দু’ভাগ হয়ে যাবে। তার ফসলতো বিএনপি পাওয়ার কথা।
আরেকজন ভোটার আঙুলের কর গনে হিসেব করে দিলেন, আওয়ামী লীগের মূল প্রার্থী মোয়েন খান নৌকা প্রতীকে পাবেন ৬ হাজারের মতো ভোট, বিদ্রোহী প্রার্থী কারিবুল হক নারিকেল গাছ প্রতীকে পাবেন ৪ হাজার ভোট আর ধানের শীষে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে শফিকুল ইসলাম ১০ হাজার ভোটের মতো পাবেন।
এ ধরনের অংক কষাতেই চলছে ইসরাইল মোড়ের ব্যস্ততা।
বাংলাদেশে এখন কোনো পথে বা মোড়ে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর ছবি ঝুলছে, এটা কল্পনাতীত। তবে ইসরাইল মোড়েই টানানো রয়েছে সাঈদীর মুক্তি চাই ফেস্টুন।
চায়ের দোকান থেকে সেলুন বা চালের আড়ৎ সবখানেই নির্বাচনের গরম। আর বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে জামায়াতের প্রার্থীরাও রয়েছেন এখানে। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ পৌরসভায় উত্তেজনা আর সংঘর্ষের সম্ভাবনাটাও বেশি।
আর অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হলে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠবে ইসরাইল মোড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এমএন/জেডএস
** ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের
** আবেগী প্রার্থী জাপা'র লিটিলের কথা
** সাঁওতালদের বিশ্বাস করে না ধানের শীষ!
** মানুষ এখন সরকারি দলে...