ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

কুষ্টিয়া থেকে আসাদ জামান

বিদ্রোহে কঠিন নৌকার হিসাব

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
বিদ্রোহে কঠিন নৌকার হিসাব ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুষ্টিয়া থেকে: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কুষ্টিয়ার পাঁচটি পৌরসভার দু’টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধ কঠিন করে দিয়েছেন তিন বিদ্রোহী প্রার্থী।
 
এই তিন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে দু’টি পৌরসভা আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটার ও সাধারণ জনগণ।


 
আওয়ামী লীগ নেতাদের শঙ্কাও একই রকম। তারাও মনে করছেন, দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসানো না গেলে বিপাকে পড়তে হবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করা প্রার্থীদের।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন সামছুজ্জামান অরুণ। নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা ছিল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তরিকুল ইসলামের সঙ্গে।

কিন্তু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকারিয়া খান জেমস দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জগ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ফলে ধানের শীষের পাশাপাশি তাকে জগের সঙ্গেও লড়তে হবে।
 
এছাড়া জোট শরিক জাসদ মনোনীত প্রার্থী আবজাল ইসলাম সাচ্চু মশাল মার্কায় নির্বাচন করায় নৌকার কিছু ভোটও নষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
 
খোকসা পৌরসভা নৌকার জন্য আরো কঠিন হিসাবের খাতা খুলে বসেছে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র হাতে পেয়ে তারিকুল ইসলাম তারিক আনন্দে উদ্বেলিত হলেও, তার কপালে এখন চিন্তার বলিরেখা।
 
কারণ, তার পৌরসভায় দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। জগ ও নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন তারই দলের দু’জন মেয়র প্রার্থী। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির রাজু আহমেদ ছাড়াও দুই বিদ্রোহী প্রার্থী আলা মাসুদ মোর্শেদ শান্ত ও আলাউদ্দিন পিল্টুর সঙ্গে লড়তে হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিককে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পাঁচ পৌরসভার পাঁচটিতে সিটিং মেয়র আওয়ামী লীগের। সেই হিসেবে এবারও পাঁচটি পৌরসভায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

কিন্তু ওই দুই পৌরসভায় তিন বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী থাকায় নৌকার ভোটযুদ্ধ অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।
 
জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অভিযোগ কুমারখালী ও খোকসায় যে তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে, তাদের পেট্রনাইজ করছেন স্থানীয় এমপি আব্দুর রউফ। আর এটা তিনি করছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে।
 
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর আলী বাংলানিউজকে বলেন, আপনি যা শুনেছেন, ঠিকই শুনেছেন। আমাদের এমপিই এই তিন বিদ্রোহী প্রার্থীকে পেট্রনাইজ করছেন।
    
তবে এই তিন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার পরও চুয়াডাঙ্গার পাঁচটি পৌরসভায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
 
তিনি বলেন, আমরা তো গত নির্বাচনে সবগুলোতেই জিতেছিলাম। এবার আবার নৌকা প্রতীক দেওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি সবগুলো পৌরসভায় আমরা জিতবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
এজেড/জেডএস

** সুন্দর বাচনভঙ্গি ও মার্জিত আচরণে ভোট প্রার্থনা!
** জামায়াতের হালুয়া-রুটি টাইট হয়ে গেছে
** মোবাইল-নারকেলে আটকে যেতে পারে নৌকা
** নৌকা-ধানের শীষে গর্বিত প্রার্থী
** বিএনপির বিষফোঁড়া জামায়াত
** ‘যোগ্য লোকের পক্ষ নেব’
** আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।