ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

নির্বাচন

বগুড়া থেকে বেলাল হোসেন

মেয়র পদে জয় পেতে বড় ফ্যাক্টর মার্কা

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
মেয়র পদে জয় পেতে বড় ফ্যাক্টর মার্কা ছবি: আরিফ জাহান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাবতলী (বগুড়া) থেকে ফিরে: সবাই সুবিধার রাজনীতি করেন। ভোট এলে প্রার্থীদের মন গরীবের জন্য কেঁদে ওঠে।

তাদের দুঃখ- দুর্দশায় প্রার্থীদের দরদ যেন উথলে ওঠে। কিন্তু নির্বাচনের পর তারা সবকিছু বেমালুম ভুলে যান। তখন গরীবের জন্য আর দরদ উথলে ওঠে না।

কিন্তু গরীবের যাওয়ারও তো কোনো জায়গা নেই। বিপদে-আপদে সেই ক্ষমতাধরদের কাছেই যেতে হয় তাদের। এছাড়া ভোটও তো দিতে হবে। মূল্যবান ভোট নষ্ট করে কী লাভ। তাই এবার পৌর নির্বাচনেও তারা ভোট দেবেন। তবে গাবতলী পৌরসভায় মেয়র পদে জয়ের জন্য মার্কাই সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোটাররা।
 
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বগুড়ার গাবতলী পৌরসভায় নানা শ্রেণি-পেশার ভোটারের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বললে তারা এসব কথা জানান।

মুদি দোকানি নয়ন বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষমতায় গেলে সবাই এলাকার কমবেশি উন্নয়ন করেন। তবে সবাই গরীবের পাশে থাকেন না। গরীবের কথাও ভাবেন না। যিনি তাদের মতো গরীবদের জন্য কিছু করবেন, যার কাছে সুখ-দুঃখের কথা বলা যাবে, এবার তাকেই তিনি ভোট দেবেন। তবে এখানে জয়ের ক্ষেত্রে মার্কা প্রধান ভূমিকা রাখবে। নৌকার চেয়ে এখানে ধানের শীষের লোক বেশি।
 
কৃষক গুলজার মন্ডল জানান, ভোটের খবর নেওয়ার সময় কোথায়। ফসল ফলিয়ে জীবন ধারণ করতে হয়। ক্ষেতে ফসল না থাকলে পেটে ভাত জুটবে না। তাই আগে ফসল পরিচর্যা করতে হবে, তারপর ভোট নিয়ে ভাবা যাবে।

ভোটের দিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোট দিলেই হবে বলে মন্তব্য এই কৃষকের।  
 
চা-দোকানি রুবেল বলেন, ভালো মেয়র চাই। যে এলাকার জন্য ভালো কাজ করবেন, তাকেই ভোট দেবো। কিন্তু সমস্যা হলো, চেয়ারে বসার পর তারা গরীবদের কথা দ্রুতই ভুলে যান। তখন তারা গরীবদের চিনতে চান না।
 
ব্যবসায়ী লিমন ও বকুল বলেন, এই এলাকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছে। তাই এখানে ধানের শীষের প্রভাব বেশি, যেমন গোপালগঞ্জে নৌকার প্রভাব। এই পৌরসভায় মেয়র পদে জয়ের জন্য ধানের শীষ মার্কার কোনো বিকল্প নেই। এখানে ব্যক্তির কোনো দাম নেই। এলাকার বেশির ভাগ ভোটার ভোট দেবেন মার্কা দেখে।

তারা দেখে শুনে বুঝে ভোট দেবেন জানিয়ে মর্জিনা বেগম ও হেলেনা খাতুন বলেন, নারীদের খবর কেউ নেয় না। ভোটের সময় এলে তাদের প্রতি প্রার্থীদের দরদ বাড়ে। প্রার্থীদের চোখের ঘুম ভাঙে। নারীদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে আসেন তারা। এবারও তাই করছেন প্রার্থীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।