ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

নির্বাচন

৩ মেয়র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

সারিয়াকান্দিতে বিতর্কিত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
সারিয়াকান্দিতে বিতর্কিত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী কোনো প্রকার নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে যা ইচ্ছে, তাই করছেন।

তার এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

এসব অভিযোগ এনে এই পৌরসভায় অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত কর্মকর্তাদের অপসারণের জোর দাবি জানিয়েছেনে এ পৌরসভার তিন মেয়র প্রার্থী। তারা হলেন- বিএনপি দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র টিপু সুলতান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দলটির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী আব্দুর রশীদ ফারাজী এবং আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ সরদার।
 
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বগুড়া প্রেসক্লাবে তারা সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ আনেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী টিপু সুলতান। এ সময় তার দু’পাশে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুই মেয়র প্রার্থী ছিলেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আলমগীর শাহী সুমনের পক্ষ নিয়ে সরকারদলীয় স্থানীয় এমপি,তার স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাদারা মান্নান প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ওপর ব্যাপক প্রভাব খাটাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করাতে তাদের বাধ্য করছেন।
 
আলমগীর শাহী সুমন পৌর এলাকার ভোটার না হওয়ার পরও অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে তাকে ভোটার করা হয়েছে অভিযোগ করে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষের ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ঠুনকো অজুহাতে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করে দেন। পরে তারা হাইকোর্টে যান। সেখানে আপিলের পর তারা প্রার্থিতা ফিরে পান। এদিকে সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই পদে এমপির পছন্দের লোক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
 
এ তিন মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপনে পুলিশের পোশাক বানানো ও বিপুল সংখ্যক নকল ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে সন্ত্রাস সৃষ্টির করে এসব ব্যালট পেপার বাক্সে ঢোকানো হবে বলে ভোটারদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হবে বলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন। এতে করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
 
তাই ভোটের দিন এই পৌরসভায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তারা। পাশাপাশি নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের বদলি না করা হলে এই পৌরসভায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলেও দাবি করেন। তাই এ বিষয়ে তারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।