ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

নির্বাচন

ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা শুরু ছবি: রাজীব- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের নবম পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন চলছে ভোটগণনা।

গণনা শেষে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা করবেন।
 
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গুটিকয়েক এলাকায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও সারাদেশই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসবের আমেজে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।

২৩৪ পৌরসভার এ নির্বাচনে পৌরপিতা ও অন্য জনপ্রতিনিধির পদ পেতে ভোটযুদ্ধে নেমেছে ২০টি প্রতিদ্বন্দ্বী দল। আছেন বড় দলগুলোর বিদ্রোহী স্বতন্ত্র ও অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে ভোট হওয়ায় এবারের স্থানীয় এ নির্বাচনে যোগ হয়েছে সংসদ নির্বাচনের আমেজ। কাউন্সিলর পদ নির্দলীয় হলেও সেখানেও রয়েছে দলগুলোর নেপথ্যের লড়াই।
 
দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৩৪ জন, বিএনপির ২২৩ জন, জাতীয় পার্টির ৭৪ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৮ জন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ১ জন, জেপির ৬ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৪ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১ জন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের ১ জন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ১ জন প্রার্থী রয়েছেন।
 
এছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ২১ জন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৭ জন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ১ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ১ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৭ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩ জন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন ও খেলাফত মজলিশের ১ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে থাকছেন।

তবে তাদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের ৭ প্রার্থী ছিলেন না ভোটের লড়াইয়ে।

দীর্ঘ সাত বছর পর এবার ভোট হচ্ছে নৌকা-ধানের শীষ প্রতীকে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের এ ভোটের লড়াই জমে উঠেছে। ইসি’র তথ্য থেকে জানা গেছে, ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে ২২২টিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মুখোমুখি লড়াই হচ্ছে।

মোট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ১৫ জন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ জন,  বিএনপির ১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ৪ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৪ জন।

নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৪৮০ জন প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮ হাজার ৭৪৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদেরকেও ভোটের লড়াই করতে হয়নি।

এবার ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। যেখানে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ জন এবং নারী ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬০ জন। নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্বাধীনতার পরে এর আগে দেশে আটবার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম পৌরসভা নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৭৭ সালের ১৩ আগস্ট, ১৯৮৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৯ সালের ২৮ জানুয়ারি, ১৯৯৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আর ১৯৯৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচন হয়। এরপর ২০০৪ সালের ৫ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী ১১৫ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালের মার্চের তৎকালীন ৩০৯ পৌরসভার মধ্যে ২৬৯ পৌরসভার নির্বাচন সমপন্ন হয়। এবার ৩২৩ পৌরসভার মধ্যে ২৩৪টিতে ভোটগ্রহণ করা হলো এক দফায়। অবশিষ্টগুলোয় মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
ইইউডি/আইএ/এএসআর

** পৌরসভায় জাতীয় নির্বাচনের আবহ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।