ঢাকা: চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চতুর্থ ধাপে ৪৬ জেলার ৮৮ উপজেলার ৭০৩ ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে ৩৫ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ ৬৬৮ ইউপিতে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সদস্য পদে ২৪ হাজার ১৮৭ জন এবং নারী সদস্য পদে ৭ হাজার ১৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সদস্য পদে ২২৭ জন প্রার্থী এবং নারী সদস্য পদে ৯৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে মোট ৬ হাজার ৭২৭টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় সোয়া কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে এবার ছয় ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে তিনটি ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন ধাপের নির্বাচনে প্রায় ৭০ জন ব্যক্তি নির্বচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছে বলে পর্যবেক্ষক সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) দাবি করছে। এছাড়া শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ইসির উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকবলও কাজ করছেন। নির্বাচনী অনিয়ম রোধে মাঠে নামানো হয়েছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রপ্রতি ২০ জন করে ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্ট গার্ডের ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্সও ইতোমধ্যে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মিলিয়ে নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে প্রায় ২ লাখ ফোর্স। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
আগামী ২৮ মে পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ইউপি নির্বাচন শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৬
ইইউডি/আইএ/জেডএস