শেরপুর (বগুড়া) থেকে: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ভোট চাওয়ায় কৌশলের শেষ নেই। শুরু থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা চমকপ্রদ নানা সব কৌশল বের করেন।
ভোটকেন্দ্রে এসেও নারী ভোটারদের কাছে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বলছিলেন, ‘মাগো তোমার ভোটটি দাও’। এভাবে অত্যন্ত করুণভাবে ভোট চাওয়া হচ্ছিল। এসব কথা বলে ভোটারদের হাতে লিফলেট তুলে দেওয়া হচ্ছিল।
শনিবার (০৭ মে) বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ও খানপুর ইউপি নির্বাচনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট চাওয়ার এ কৌশল নজরে পড়েছে।
ঘড়ির কাটা ১২টা ছুঁইছুঁই করছে- এমন সময় মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকজন নারী কর্মীকে দেখা যায়। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল নিজ নিজ প্রার্থীর প্রতীক সম্বলিত ছোট ছোট লিফলেট।
ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগেই এসব নারী কর্মীরা তাদের দ্বারে দ্বারে ছুটছিলেন। শেষ মুহূর্তের মতো ভোট চাইছিলেন তারা। প্রত্যেকের হাতে প্রার্থীর প্রতীক সম্বলিত সেই লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছিলেন।
এ সময় এসব নারী কর্মীরা ভোটারদের মন গলাতে নানা চকমপ্রদ বাক্য ব্যবহার করছিলেন। ‘তোমার কাছে তো তেমন কোনো সম্পদ চাচ্ছি না। কোনো টাকা পয়সা দেওয়া লাগবে না। আমার প্রার্থীর জন্য কারো কাছে ভোটও চাইতে হবে না। শুধু তোমাদের ভোটটি চাই। মাগো তোমার ভোটটি দাও’- অত্যন্ত করুণভাবে ভোট চাওয়া হচ্ছিল। বিনয়ের সঙ্গে এসব কথা বলে ভোটারদের হাতে লিফলেট তুলে দেওয়া হচ্ছিল।
লাবনী আক্তার নামে এক নারীকর্মী বাংলানিউজকে বলেন, ‘গ্রামের মানুষ অত্যন্ত সহজ সরল। তাই তাদের মন জয় করা অত্যন্ত সহজ। এ মানুষগুলো একটু আদব, ভালো ব্যবহার চান। এছাড়া তাদের তেমন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আর তাদের সেই চাওয়াটুকু পুরণ করতে পারলে অবশ্যই তারা আমার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে বিশ্বাস করি’।
আছিয়া বেগম নামের আরেক নারীকর্মী ভোটার দুলালকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগেই দাঁড় করান। এরপর তার সামনে লিফলেট তুলে ধরেন। একই কায়দার তার কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। ভোটার দুলালও এই নারী কর্মীকে নিরাশ করেননি। তিনি তার প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে নারী কর্মীদের নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করার একই দৃশ্য দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৬
এমবিএইচ/এনএইচএস/এএসআর