মামলা জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পর পৌরসভার ২৫ হাজার ২৪ জন ভোটার ১০টি কেন্দ্রে তাদের পবিত্র আমানত ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি (মেয়র) নির্বাচন করবেন।
পৌরসভায় মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে তিন প্রার্থী- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মো. আব্দুস শুকুর, জগ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান পৌরপ্রশাসক তফজ্জুল হোসেন ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের আবু নাসের পিন্টু।
হেভিওয়েট এ তিন প্রার্থী ছাড়াও মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম পল্লব। মোবাইল ফোন প্রতীকে সতন্ত্র প্রার্থী তিনি।
জাসদের সমর্থনে মশাল প্রতীকের শমসের আলম, নারিকেল গাছ প্রতীকের সতন্ত্র প্রার্থী মো. বদরুল হক ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী আমান উদ্দিন ও জামায়াত সমর্থিত রেল ইঞ্জিন প্রতীকে মো. জমির হোসেনও আছেন ভোট যুদ্ধে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের অন্য বিদ্রোহী প্রার্থী আমান উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দল মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুরকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
নির্বাচনকে ঘিরে পুরো পৌরসভা এখন উৎসবমুখর।
আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন এতোদিন।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছেছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ভোট সুন্দর পরিবেশে হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. আসাদুজ্জামান।
পৌরসভার ১০টি ভোট কেন্দ্রে থাকছে অতিরিক্ত পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ, আনসার সদস্যরা। সেইসঙ্গে সার্বক্ষণিক টহলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাব সদস্য দ্বারা গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন মোবাইল টিম।
বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পৌরসভার প্রথম এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে সবপ্রস্তুতি সম্পন্ন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার আয়তন ১৮ দশমিক ১৭ বর্গ কিলোমিটার। মোট ভোটার ২৫ হাজার ২৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৪০৩ এবং নারী ১২ হাজার ৫৯৪ জন। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার ১৪৬ জন বেশি। পৌরসভায় ১০ কেন্দ্র ও ৭৫টি কক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
মেয়র পদে আটজন প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন এবং সাত সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়াই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এনইউ/আইএ