তিনটি ইউনিয়ন ভেঙে পুনর্গঠনে আটটি ইউনিয়ন হয়েছে, এলাকা পুনর্গঠন, নতুন সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা তৈরি সব মিলিয়ে অনেক প্রতীক্ষার পর এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি স্বতন্ত্রসহ চেয়ারম্যান পদে ২৯, সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে ৭৬।
২০০৬ সালে মধুপুর ও ধনবাড়ী আলাদা উপজেলা হয়ে যাওয়ার পর মধুপুরের ভাগে ৬টি ইউনিয়ন ছিল। এই ছয় ইউনিয়নের তিনটি ভেঙে ৮টি করা হয়েছে। গত ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী উপজেলার আউশনারা হয়েছে আউশনারা, মহিষমারা ও কুড়ালিয়া ইউনিয়ন। পুরাতন নতুন মিলে ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে এবারই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনের আলোচনার মধ্যেই মহিষমারা ও আউশনারা ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিভক্তি নিয়ে ভোটাররা অভিযোগ করছেন, তারা রয়েছেন নিজেদের পরিচয় সংকটে। মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন দফতরে তারা গত ৭ জুন লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রকাশিত গেজেটে আউশনারা ইউনিয়নের হলুদিয়া গ্রামের অবস্থান ও বসতভিটা ওই ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকায় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের আউশনারা ইউনিয়নের ভোটার হিসেবেই তাদের চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু গত ৪ জুন নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সময় হলুদিয়া গ্রামের বোকারবাইদ খাঁ পাড়া, বোকারবাইদ পশ্চিম অংশ, কৈয়া পাড়ার পূর্ব ও পশ্চিম অংশ মহিষমারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। গেজেটে আউশনারা ইউনিয়ন আর নির্বাচন তফসিল ঘোষণায় ভোটার তালিকায় মহিষমারা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় হলুদিয়া গ্রামের ওই চার অংশের ৬৫৬ জন ভোটার বিপাকে পড়েছেন। কোন ইউনিয়নের কিংবা কোন ওয়ার্ডের নাগরিক এ নিয়ে তারা এখন অনেকটা পরিচয় সংকটে ভুগছেন। এ নিয়ে ওই এলাকার ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গেজেট অনুযায়ী আউশনারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক হিসেবে সদস্য পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে এ অবস্থায় হলুদিয়া গ্রামের সেলিম মিয়া হতাশ হয়েছেন। একই অবস্থায় পড়েছেন নতুন ইউনিয়ন কুড়ালিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক হায়েত আলী।
দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে তারা আদালতে রিট করে ন্যায় বিচার চাইবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে এবিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই নির্বাচন অফিসের। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ কামরুল হাসান লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এখন যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া এটি সমাধানের বিকল্প কোনো পথ নেই বলেও মত দিয়েছেন তিনি।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, সমস্যার কথা শুনেছি। এ সমস্যার সমাধান স্বায়ত্বশাসিত নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্য কোথাও মিলবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
জিপি/এসআইএস