বাগেরহাট: করোনা ভাইরাসের কারণে দুই দফা পিছিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও যে যার কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছেন। নির্বাচনে ৬৫টি ইউনিয়নের ৫৯৯টি কেন্দ্রই ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ঝামেলা ছাড়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ৩ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৩টি টহল টিম, ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলায় ২৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
এবারের নির্বাচনে ৬৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া জেলার কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সব ইউপি সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে ওই ইউনিয়নে ভোট না হওয়ায় এবারের নির্বাচনে ৬৫টি ইউনিয়নে ভোট হবে।
এছাড়া ৬৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬২ জন প্রার্থী রয়েছেন। বেশিরভাগ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিপরীতে নিজ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এর বাইরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রিপন দাসের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী জব্বার মোল্লা রয়েছেন। এছাড়া ৬৫টি ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য দুই হাজার ২৫৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রত্যেক প্রার্থীই অপেক্ষা করছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী ফারাজি বেনজির আহমেদ বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী ব্যালট পেপার, ভোটবাস্কসহ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। সঠিক সময়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাবে। নির্বাচনে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটগণ উপস্থিত থাকবেন। এর পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের টহল টিম থাকবে প্রতিটি উপজেলায়।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী যাচাই–বাছাই ও প্রত্যাহারের পর কোনো পদে একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হয়। সেই অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর, যেসব ইউনিয়নে যে যে পদে একক প্রার্থী ছিলেন, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের ৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ৩৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সবশেষ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনেও জেলার ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩২টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
আরএ