ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন

ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত আহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত আহত

ভোলা: ভোলা সদরের তিনটি ইউনিয়নে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিসংতায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ঘরবাড়ি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি।

বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পূর্ব ইলিশা, ধনিয়া, বাপ্তা, ও ইউনিয়নের এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশের টহল জোরধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও আহত সূত্রে জানা গেছে, ভোটারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে সকালে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুনাফ সিকদার বাড়ির সামনে বিজয়ী প্রার্থী লিটন মেম্বার যান।

ওইসময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী শাহে আলমের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে বিজয়ী প্রার্থী লিটন মেম্বার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

পাশাপাশি লিটন সিকদারের বাড়ির ঘরে অগ্নি সংযোগ করা হলে পরে পুলিশ এসে তাৎক্ষণিক তা নিভিয়ে ফেলে। এসময় লিটন মেম্বার এর সমর্থকদের মটরসাইকেল, দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হন।

আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী শাহে আলম শিকদার জানান, বিজয়ী প্রার্থী লিটন

সিকদারের সমর্থকরা তাদের সমর্থকদের বাড়ি ঘরে অতর্কিত হামলা করে বসতবড়ি, দোকান ভাঙচুর চালায়। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে তার দুই ছেলে

শাহিনও রুবেল সিকদার সহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।

অপরদিকে ভোলা সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ফারুক হাজির প্রতিপক্ষ ও বিজয়ী প্রার্থী মাকসুদর রহমান নিরবের উপর হামলা করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মিজান ও হোসেন নামে আরও দুইজন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এছাড়া ধনিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিবপুর ইউনিয়নে পৃথক ২টি সংহিসংতার ঘটনা ঘটেছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, সহিংসতা রোধে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নিরুপম সরকার জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতায় আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার জন্য চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।