ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

ফরিদপুর-২ উপ-নির্বাচন: রাত পোহালেই নৌকা-বটগাছের লড়াই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২২
ফরিদপুর-২ উপ-নির্বাচন: রাত পোহালেই নৌকা-বটগাছের লড়াই

ফরিদপুর: ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা উপজেলা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (০৫ নভেম্বর)। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম।

শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচনে ১২৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কাস্টিং হবে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের ১০টি টিম, ৬ প্লাটুন বিজিবি, বেশকিছু স্ট্রাইকিং ফোর্স, তিনজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহস্রাধিক পুলিশ ছাড়াও আনসার এবং মোবাইল টিম মাঠে কাজ করবে।

১৫ দিনের প্রচার প্রচারণা শেষে ফরিদপুর-২ এর এই উপনির্বাচনে এখন ভোটের অপেক্ষায় ওই এলাকার সাধারণ ভোটাররা। রাত পোহালেই ভোটের লড়াই শুরু হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এ ভোটগ্রহণ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। ইভিএম মেশিনসহ ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয় মালামাল ইতোমধ্যেই কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-২ আসনটি নাগরকান্দা, সালথা উপজেলা ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এতে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭২ জন। এর মধ্যে নগরকান্দা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৫। সালথা উপজেলায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬০ ও সদরপুরের কৃঞ্চপুর ইউনিয়নে ২৮ হাজার ১৩৭ ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। এ নির্বাচনে ১২৩ ভোট কেন্দ্রের ৮০৬টি ভোট কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করা হবে।

নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন, সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবু ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মনোনীত বটগাছ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া।  

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মাঠে রয়েছে।  

খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ফরিদপুর-২ আসনের রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ূন কবির বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সব কেন্দ্রই আমাদের কাছে সমান। কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারের পাশাপাশি তিনজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।  

তিনি আরও জানান, ইভিএম মেশিনসহ প্রয়োজনীয় মালামাল নিরাপদভাবে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি থাকবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।