চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। এই ম্যাচে নিজের আসল ঠিকানা তথা কাতালান জায়ান্টদের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেন ধারে বায়ার্নে যাওয়া ফিলিপ্পে কৌতিনহো।
২০১৮ সালে ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুল ছেড়ে ক্যাম্প ন্যুয়ে পাড়ি জমান কৌতিনহো। কিন্তু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি এই খেলোয়াড়কে কিনতে এমনকি ইংলিশ জায়ান্টদের বাড়তি ৪০ মিলিয়ন ইউরোও পরিশোধ করতে হয়েছে বার্সাকে।
লিভারপুল ছেড়ে কাতালুনিয়ায় আসার পর থেকে নিজের ছন্দ হারিয়ে ফেলেন কৌতিনহো। প্রথমত তৎকালীন বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের ধরনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেননি তিনি। এরপর তার আত্মবিশ্বাস তলানিতে নেমে যায় এবং টানা ব্যর্থতার জেরে একসময় তাকে ধারে বায়ার্নে পাঠিয়ে দেয় বার্সা। বাভারিয়ানরা তাকে নিতে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে।
লিভারপুল থেকে যে দামে বার্সা কিনেছিল, একই দামে কৌতিনহোকে স্থায়ীভাবে কেনার সুযোগ ছিল বায়ার্নের হাতে। কিন্তু জার্মান চ্যাম্পিয়নদের মূল একাদশে নিয়মিত হতে ব্যর্থ হন তিনি। শুরুর দিকে তবু কিছুটা আলো কেড়েছিলেন, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আলোও মিলিয়ে যেতে থাকে। ফলাফল এই মৌসুম শেষে তাকে ফের স্পেনে ফিরে যেতে হবে।
যদিও গত ৩০ জুন বার্সায় ফেরার কথা ছিল কৌতিনহোর, কিন্তু করোনা মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। ফলে বায়ার্নে আরও কিছুদিন থেকে যেতে হবে তাকে। কিন্তু কে জানতো, নিজের ঠিকানা তথা বার্সাকেই ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করে দেওয়ার দায়িত্ব তার কাঁধেই বর্তাতে পারে। যদিও কিংসলে কোমানের অনুপস্থিতিতে বায়ার্নের একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে, তা সত্ত্বেও তার খেলা এখনও অনিশ্চিত।
এবারের গ্রীষ্মের দলবদলের বাজারে কৌতিনহোর জন্য ৮০ মিলিয়ন ইউরো দাম হাকিয়েছিল বার্সা। কিন্তু এই মন্দার বাজারে অফ-ফর্মে থাকা কোনো খেলোয়াড়ের জন্য এত বিপুল পরিমাণ অর্থ কোনো ক্লাবই খরচ করতে রাজি হচ্ছে না। আবার তার মানের একজন খেলোয়াড়কে এর চেয়ে কম দামেও বেচতে পারছে না বার্সা। ফলে ২০২০/২১ মৌসুমে তাকে হয়তো অন্য কোথাও ধারে খেলতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এমএইচএম