ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৬ দফা ইশতেহার দিয়েছে কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত পরিষদ। ’ এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে আছে বেশকিছু নতুন প্রতিশ্রুতি।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে নির্বাচনের ইশতেহার গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন সম্মিলিত পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
গতবার ২৫ দফা নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন পরিষদ। এবার তাতে যোগ হয়েছে বাড়তি ১১ দফা। এবারের ইশতেহারে জাতীয় দলের জন্য ‘দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবসম্মত’ পরিকল্পনা, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা পুনরুদ্ধার, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ নিয়মিত আয়োজন, এসএ গেমসের শিরোপা জয়, মেয়েদের লিগের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এবং ফিফা র্যাংকিংয়ে উন্নতির জন্য পরিকল্পনা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ঘরোয়া ও বয়সভিত্তিক ফুটবলের উন্নয়নে ‘সুনির্দিষ্ট পঞ্জিকা’ প্রণয়ন, নির্ধারিত সময়ে দলবদল, জেলা ফুটবল লিগগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আয়োজন, প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় বিভাগ লিগে অংশ নেওয়া দলগুলোকে লাইসেন্সের আওতায় আনা ও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্টেডিয়ামের সংখ্যা বাড়ানো, দেশের চারটি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন, টার্ফগুলোর পুনঃউন্নয়ন, ঘরোয়া ফুটবলের দলগুলোর হোম ভেন্যুর প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়াম তৈরির উদ্যোগের কথাও বলা হয়েছে।
চতুর্থবারের মতো বাফুফে সভাপতি হওয়ার লড়াইয়ে থাকা সালাউদ্দিন ২০১২ সালে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে দাবি তার। তিনি বলেন, ‘এখানে আপনাদের একটা কনফিউশন আছে। আমি বিশ্বকাপ খেলব বলিনি। কোয়ালিফাই করার চেষ্টা করব বলেছি। এই টার্গেট নিয়েই তো এগোতে হবে। আমি যখন আসি তখন আমরা ১৮০তম স্থানে ছিলাম। এখন আছি ১৮৭তম স্থানে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সও কিন্তু শীর্ষে নাই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘র্যাংকিংয়ে এগোতে হলে ফিফার প্রীতি ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ। বেশি বেশি ম্যাচ খেললে এগুনোর সুযোগ থাকে। আমাদের আর্থিক সংকট ছিল, যে কারণে আমরা অত বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি। এদেশে একটা পরিপূর্ণ ফুটবল স্টেডিয়াম নাই। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে। ’
নিজের সর্বশেষ মেয়াদে সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে সালাউদ্দিনের দাবি, ২০১৬ সালের ইশতেহারের ৭০-৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশ কাজ না হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে মেয়েদের দলগুলোর সাফল্য, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের মাটিতে গিয়ে জাতীয় দলের ড্র করে আসা, নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনকে নিজের সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এক নজরে সম্মিলিত পরিষদ
সভাপতি: কাজী মো. সালাউদ্দিন
সিনিয়র সহ-সভাপতি: আবদুস সালাম মুর্শেদী
সহ-সভাপতি: ইমরুল হাসান, কাজী নাবিল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, আতাউর রহমান মানিক
সদস্য: অমিত খান শুভ্র, ইকবাল হোসেন, মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, মো. জাকির হোসেন, মাহফুজা আক্তার কিরণ, হারুনুর রশিদ, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইলিয়াছ হোসেন, বিজন বড়ুয়া, আসাদুজ্জামান মিঠু, কামরুল হাসান হিলটন, সৈয়দ রিয়াজুল করিম, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও নুরুল ইসলাম নুরু।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
এমএইচএম