এশিয়া কাপের এবারের আসরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে বেশি বিতর্ক ছিল অন্যসব বিষয় নিয়ে। গতকাল ফাইনালে ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও বিতর্ক থামেনি এখনও।
ভারতের কাছে হারের পর সংবাদমাধ্যমে সালমান বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। অনেকে মনে করছেন, হাত না মেলানো মানে আমাদের অসম্মান করা। কিন্তু আসলে তারা ক্রিকেটকেই অসম্মান করছে। আর যারা ক্রিকেটকে অসম্মান করে, সেটার প্রতিফলন তাদের কাছেই ফিরে আসে। ’
ভারতের আচরণকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, ভালো দল কখনও এমনটা করে না। ভালো দল সেই কাজই করে যা আমরা করেছি। আমরা একা গিয়েও ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছি, হারের পরও মেডেল নিয়েছি। খুব কঠিন শব্দ ব্যবহার করতে চাই না, তবে সত্যি বলতে গেলে এটা ক্রিকেটের প্রতি অসম্মান, আমাদের প্রতি নয়। ’
এছাড়া ম্যাচ-পরবর্তী বেশ কিছু সংবাদ সম্মেলন বাতিল করার কারণ ব্যাখ্যা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তার দাবি, ‘হ্যাঁ, কখনও কখনও প্রাক-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্স হয়নি। কিন্তু এগুলো ঘটেছে মাঠের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়। আমরা কেউ এটা শুরু করিনি। আসলে কে করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যা হচ্ছে তা ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকর। ’
তরুণ প্রজন্মের কাছে এ ধরনের আচরণ ভুল বার্তা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সালমান। তিনি বলেন, ‘ধরুন আমি পাকিস্তানের অধিনায়ক নই, কেবল একজন ক্রিকেট ভক্ত। তাহলেও আমি এসব সমর্থন করব না, কারণ এটি ভুল। ঘরে বসে থাকা একজন শিশু, সে পাকিস্তানের হোক বা ভারতের, কী বার্তা পাচ্ছে? আমরা যদি নিজেদের রোল মডেল ভাবি, তাহলে আমাদের আচরণও রোল মডেলের মতো হওয়া উচিত। নাহলে আমরা ভুল শিক্ষা দিচ্ছি। আমি আবারও বলছি, যা ঘটেছে তা ভুল, এটি হওয়া উচিত হয়নি। যারা এটা করেছে তাদেরকেই প্রশ্ন করা উচিত। ’
আরইউ