চট্টগ্রাম: কয়লার চুলায় গরম করা হচ্ছে লোহার মোটা স্ক্রু, অন্যদিকে ইঞ্জিনচালিত যন্ত্রে গরম লোহাকে পিটিয়ে করা হচ্ছে সোজা। গ্যাসের আগুনে চাকাকে নরম করে আধুনিক মেশিনে ঢুকিয়ে করা হচ্ছে গোলাকার।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পাহাড়তলী কারখানায় চলছে ট্রেনের কোচ মেরামতের কাজ। এখানে ৯০টি অতিরিক্ত কোচ মেরামত করা হচ্ছে।
এরমধ্যে ৩০টি কোচের মেরামত কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান পাহাড়তলী কারখানার কর্ম ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ আমীর উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি যাত্রীবাহী ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাহাড়তলী কারখানায় অতিরিক্ত বগি মেরামত শুরু করেছি। ২৫ মার্চের মধ্যে মেরামত করা সব কোচ পরিবহন বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ঈদে প্রতিটি ট্রেনে ৩ থেকে ৪টি করে অতিরিক্ত কোচ যুক্ত হবে। এছাড়াও স্পেশাল ট্রেন চলবে। দুটি স্ট্যান্ডিং টিকিটের ট্রেন চলবে। যারা ঈদের অগ্রিম টিকিট পাবেন না তারা তাৎক্ষণিক টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন।
এদিকে প্রতিদিন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১০০টি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) প্রয়োজন হয় পরিবহন বিভাগের। কিন্তু পাওয়া যায় ৭৮ থেকে ৮০টি। ঈদের সময় ইঞ্জিনের প্রয়োজন বেশি। এবারও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১১৯টি ইঞ্জিন প্রয়োজন বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ পাওয়ার কন্ট্রোলার প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে স্পেশাল ট্রেন চলবে। এজন্য বাড়তি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয়। মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে যে পরিমাণ ইঞ্জিন সরবরাহ করা হয়, তা দিয়েই ট্রেন পরিচালনা করতে হয়। গত বছর ঈদে ১০৭টি ইঞ্জিন দেওয়া হয়। এবার ইঞ্জিনের সংকট আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৫
বিই/টিসি