আগরতলা (ত্রিপুরা) : ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস সাহাকে।
এছাড়া কমিটিতে আছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা এবং বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা। এক মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ৪টি পরীক্ষা স্থগিত করেছে, তার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে।
৯ এপ্রিল থেকে আগের নির্ধারিত সময়সূচিতেই সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষানুরাগী মহল। প্রায় সব শিক্ষাবিদরাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করেছেন।
তাদের মতে, কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই এমনটা ঘটেছে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ত্রিপুরায় এর আগে কোনো দিন ঘটেনি। এর ফলে আক্রান্ত হয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষার অঙ্গন।
প্রশপত্র ফাঁসের ঘটনায় এবং এর জেরে ৪টি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কারণে ছাত্রছাত্রীরাও বেশ অসন্তুষ্ট। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল ডেপুটেশন প্রভৃতি সংগঠিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দোষীদের খুঁজে বের করতে পুলিশে অভিযোগও জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গঠন করা হয়েছে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও। এই কমিটি আগামী পরীক্ষাগুলো যাতে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা যায় সেটা দেখবে।
ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজ্যে ১৭টি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। গত ২২ মার্চ থেকে সব কলেজে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট টু’র রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা। এর আগেই এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীদের কাছে চলে আসে। ফলে বাধ্য হয়ে ওই দিনের পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
সাবধানতা অবলম্বন করে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী
সম্পাদনা: কাজল কেয়া, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর