নয়াদিল্লি: তহেলকা কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সাবেক বিজেপি সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণকে শনিবার ৪ বছর কারাদণ্ডের রায় দিল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত।
এর পাশাপাশি ১ লাখ রুপি জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিনই তাকে তিহার জেলে পাঠানো হচ্ছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে লক্ষণের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
শুক্রবারই দিল্লির সিবিআই আদালত বঙ্গারু লক্ষ্মণকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদিন সিবিআই এর পক্ষ থেকে বঙ্গারু লক্ষ্মণের ৫ বছর কারাদণ্ডের আবেদন জানানো হয়।
অন্যদিকে, বঙ্গারু লক্ষ্মণের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে নূন্যতম সাজার আবেদন জানানো হয়। দুপক্ষের শুনানি শেষে বেলা আড়াইটা নাগাদ বিচারক বঙ্গারু লক্ষ্মণের শারীরিক অবস্থা এবং জীবনের প্রথম অপরাধের কথা বিবেচনা করে ৪ বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ রুপি জরিমানার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে তহেলকাডটকম নামের এক সংবাদ মাধ্যম এক গোপন অপারেশন চালায়। সেখানে জনৈক সাংবাদিক নিজেকে অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসাবে নিজের পরিচয় দেন সাবেক এই বিজেপি সভাপতির কাছে। অস্ত্র ব্যবসার জন্য বঙ্গারু লক্ষ্মণকে এক লাখ রুপি ঘুষ দিতে চাইলে সেই টাকা তিনি নেন।
সেই ছবি গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়লে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে যায়।
পরিস্থিতির চাপে পড়ে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
ওই ঘুষ কাণ্ডের পর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সিবিআই আদালতে প্রায় ১০ বছর ধরে মামলা চলার পর গতকাল বঙ্গারু লক্ষ্মণকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর