নয়াদিল্লি: সুন্দরবন নাই বা পেল অষ্টম আশ্চর্যের শিরোপা, তবুও বাঘ প্রকল্পর দিক থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পেল।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ দফতর মানুষ-বন্যপ্রাণীর সংঘাত নিয়ে ভারতের ৪০টি বাঘ প্রকল্পের সমীক্ষা করে।
আর সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে সুন্দরবনের সেরা হওয়ার খতিয়ান। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের সুন্দরবনে, গত পাঁচ বছরে সুন্দরবনে মাত্র একটি বাঘ চোরাশিকারের ঘটনা ঘটেছে। তাও ২০০৮ সালে।
বাঘের গ্রামে ঢুকে পড়া ও তারপর গ্রামবাসীদের হাতে বাঘের মৃত্যুর ঘটনা গত পাঁচ বছরে ৬০ শতাংশ কমেছে। পাঁচ বছর আগে যেখানে সুন্দরবনে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৪০টি বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ত, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে আট থেকে ১০-এ।
সুন্দরবনে ৭৩ কিলোমিটার এমন এলাকা রয়েছে, যেখানে জঙ্গল-গ্রাম মুখোমুখি ৷ এর মধ্যে ৬৪ কিলোমিটার এলাকাতেই নাইলনের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। পাঁচ বছর আগে যেখানে সুন্দরবনে বাঘের হাতে গড়ে আট থেকে ১০ জনের মৃত্যু হত। এখন তা কমে দুই থেকে তিন হয়েছে।
আর এই খতিয়ানের দৌলতেই বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তরফে সেরার শিরোপা তুলে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বন দফতরের হাতে ৷
এর ফলে সুন্দরবনকে দেওয়া কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের পরিমাণও বাড়তে পারে বলে মনে করছে বন দফতর ৷তারা এও মনে করছে, এর জেরে সুন্দরবন সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির গতিও তরান্বিত হবে।
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই বাঘের কবলে পরে মানুষ। তা মধু সংগ্রহই হোক বা মিন ধরা বা খাবারের অভাবে বাঘের লোকালয়ে আক্রমণ। সুন্দরবনে বাঘ লোকালয়ে ধরা পরেও ফিরে গেছে বনে এমন প্রচুর দৃষ্টান্ত আছে। তাই পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ সুন্দরবনকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়িয়ে দিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর