ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণে কারিগরি পরীক্ষা চালানোর অনুমোদন

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১২

আগরতলা (ত্রিপুরা) :  সাব্রুমের ফেনী নদীর উপর প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণে কারিগরি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অনুমোদন দিয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ। শুক্রবারই মিলেছে এই অনুমোদন।



শনিবার এ খবর জানিয়েছেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, এই সেতু তৈরি হলে ত্রিপুরাসহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল যেমন উপকৃত হবে তেমনি উপকৃত হবে বাংলাদেশও।

বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণে দুই দেশ আগেই নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সেতুটির কারিগরি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বিএসএফ এবং বিজিবির দুই তরফ থেকেই বাধা আসছিল। অথচ সেতু নির্মাণে প্রথম কাজ হল কারিগরি পরীক্ষা। এতে দু দেশের প্রযুক্তিবিদেরা সেতুর রূপরেখা এবং মাটি পরীক্ষা চূড়ান্ত করবেন।

জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, শুক্রবার এই অনুমোদন মিলেছে। দু মাসের জন্য। দু দিকের প্রযুক্তিবিদদের বিশেষ ভিসা দেওয়া হবে। এপারের প্রযুক্তিবিদরা প্রয়োজন অনুযায়ী ওপারে এবং ওপারের প্রযুক্তিবিদরা প্রয়োজন অনুযায়ী এপারে এসে কাজ করতে পারবেন। মন্ত্রীর আশা কিছু দিনের মধ্যেই এই কারিগরি কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও জানান, সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ভারতীয় টাকায় ৪০ কোটি টাকা। ভারত সরকার এই সেতু তৈরির খরচ বহন না করলে, ত্রিপুরা সরকারই সম্পূর্ণ নিজের খরচে তৈরি করবে এই সেতু।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাথে সহজে সংযোগ গড়ে তোলার জন্য এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধা পেতে বহু দিন ধরেই ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণের জন্য ত্রিপুরা দাবি করে আসছিল। এ সেতু নির্মাণ হয়ে গেলে সাব্রুম থেকে বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের দুরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৭২ কিলোমিটারে। এই সংযোগ গড়ে উঠলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধা পেতে পারেন। দু দেশের বনিক মহলও চান এটা হোক।

আগেই বাংলাদেশ সরকার সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়। সেই হিসেবে ত্রিপুরার শিল্প বাণিজ্য দপ্তর কোথায় সেতু হবে তা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ‌মে ০৪, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর
[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।