ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল কেবল টিভি পরিষেবা

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১২
জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল কেবল টিভি পরিষেবা

কলকাতা: ডিজিটাল হতে চলেছে ভারতের কেবল টিভি পরিষেবা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পয়লা জুলাই থেকে দেশের ৪ মেট্রো শহরে সম্পূর্ণ ডিজিটাল হতে চলেছে কেবল টিভি পরিষেবা।



শুধু পে চ্যানেল নয়, ফ্রি টু এয়ার চ্যানেল দেখতে গেলেও ডিটিএইচ, সেট টপ বক্স বা হাই ডেফিনিশন বক্সের যেকোনও একটি নিতেই হবে কলকাতা মেট্রোপলিট্যান এলাকার অন্তর্গত ৩৩ লাখ টিভির মালিককে।

নতুন ডিজিটালাইজড পরিষেবার নাম ড্যাস বা ডিজিটালাইসড অ্যাড্রেসিং সিস্টেম। কলকাতার জোন ওয়ানে ২ বছর আগেই চালু হয়েছিল ক্যাস বা কন্ডিশনাল অ্যাকসেস সিস্টেম।

ক্যাস ব্যবস্থায় বর্তমানে টিভি মোডে অ্যানালগ চ্যানেল দেখা যায়, যেখানে বেশ কিছু ফ্রি টু এয়ার চ্যানেল থাকে। নতুন ব্যবস্থায় টিভি মোডে পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে। নতুন ব্যবস্থায় দর্শক সরাসরি যে সুবিধা পাবেন সেগুলি হল :
১) ঝকঝকে ছবি, পরিস্কার সাউন্ড।
২) পছন্দের চ্যানেল বেছে শুধু সেগুলির জন্যই দাম দেওয়ার সুযোগ।
৩) অপ্রয়োজনীয় বা অপছন্দের চ্যানেলের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ার সুযোগ।
৪) নির্দিষ্ট চ্যানেল ভিত্তিক মাসিক ভাড়া এবং সরাসরি মাল্টি সার্ভিস অপারেটর এর থেকে সেই বাবদ বিল পাওয়ার সুযোগ।
৫) কোনও চ্যানেল বা সার্বিক পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট এমএসও-র কাছ থেকে ডকেট নম্বর।
৬) এলইডি, এলসিডি, হাই ডেফিনেশন, প্লাজমা টিভি বাড়িতে থাকলে এবার সেই মানের চ্যানেল ঘরে বসে দেখার সুযোগ।
৭) পছন্দের ভাষায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কিছু চ্যানেল দেখার সুযোগ।
৮) একই বিষয়ভিত্তিক, যেমন খবর, খেলা, সিনেমা বা বিনোদন চ্যানেলগুলিকে পরপর সেট করার সুযোগ।

২০১৫র মধ্যে ভারতের সর্বত্র চালু হবে ড্যাস। তবে নির্ধারক সংস্থা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই-এর কিছু নির্দেশিকায় অস্বাভাবিক দেরির জন্য সমস্যায় পড়ছেন মাল্টি সার্ভিস অপারেটর ও কেবল অপারেটররা। মূলত যে সমস্যাগুলি উঠে এসেছে তা হল:

১) শহরের প্রতিটি ঘরে ঘরে কেবল অপারেটররাই পরিষেবা পৌঁছে দেবেন, তাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে পরিষেবাকে পুরোপুরি মুক্ত করা যাচ্ছে না।
২) শহরের যে অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ক্যাস চালু আছে, তার একাংশ ড্যাস ব্যবস্থায় আসতে চলেছে। ক্যাসভুক্ত বাদবাকি অংশের ভবিতব্য স্পষ্ট নয়।

৩) কেএমএ এলাকায় মোট গ্রাহক ৩৩ লাখ। বাজারে সবমিলিয়ে বক্স তৈরি রয়েছে ৫ লাখ। মাত্র ২ মাসে বাকি গ্রাহকদের কাছে বক্স পৌঁছে না দেওয়া গেলে তারা ফ্রি বা
পে কোনও চ্যানেলই পয়লা জুলাই থেকে দেখতে পাবেন না। দেখা দেবে প্রশাসনিক সমস্যা।

৪) এমএসও এবং অপারেটরদের নানাবিধ সমস্যা নিরসনের জন্য ট্রাইয়ের তরফে এ রাজ্যে কোনও নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়নি।

৫) নয়া ব্যবস্থায় কেবল অপারেটরদের লভ্যাংশ বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট নয়। ফলে ২৫ হাজার কেবল অপারেটর ও তাদের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২ লাখ মানুষের রুজিরুটি কিছুটা
হলেও প্রশ্নের মুখে।

৬) চ্যানেল পিছু দামের তালিকা অপারেটরদের হাতে এসেছে মাত্র ৫দিন আগে। অল্প সময়ের মধ্যে নয়া তালিকা তৈরি করে গ্রাহকপিছু মাশুল তালিকা বানানো প্রায় অসম্ভব।
 
বহুদিন ধরেই নিজেদের পছন্দের চ্যানেল বেছে নিতে না পাওয়ার জন্য অথবা চ্যানেল পছন্দের ভাষায় দেখতে না পাওয়ার জন্য কেবল অপারেটরের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন গ্রাহকরা। নতুন ব্যবস্থায় তারা সেই সুবিধাই পেতে চলেছেন। আপাতত ড্যাস ব্যবস্থার তাকিয়ে কেবল অপারেটর থেকে গ্রাহক প্রত্যেকেই।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।