ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৩ জুন ২০২৫, ০৬ জিলহজ ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

৬ ডিসেম্বর ধর্মনিরপেক্ষ দিবস পালনের ডাক ত্রিপুরা সিপিএমের

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০৭, ডিসেম্বর ৪, ২০১২

আগরতলা (ত্রিপুরা):  ৬ ডিসেম্বরকে ধর্মনিরপেক্ষ দিবস হিসেবে পালনের ডাক দিয়েছে সিপিএম। এদিন থেকে ত্রিপুরার চন্দ্রপুরে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সংহতি উৎসব।

বিলোনীয়ার চন্দ্রপুরে প্রায় পাঁচশ’ বছর পুরোনো মসজিদ প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে এ সংহিত মেলা। ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে শুরু হচ্ছে এ মেলা।

বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে এ মেলা তিন দিন চলবে। এবার এটি ২০তম সংহতি মেলা।

১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসিজদ ধ্বংস হয়। একই বছর রাজনগর থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলের মধ্যে উদ্ধার করা হয় মসজিদটি। একেবারে ভাঙ্গাচোরা অবস্থায়। ওই মসজিদ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাংলাদেশ। ১৯৯৩ সাল থেকে ওই ভাঙ্গা মসজিদের প্রাঙ্গণে শুরু হয় সংহতি মেলা।

মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। এর চূড়ায় বসানো হয়েছে সাদা মার্বেল। মসজিদ চত্ত্বরটি সাজিয়ে গুছিয়ে করা হয়েছে পর্যটনের স্থান।

স্থানীয় বিধায়ক সুধন দাস বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, মসজিদটি ৫০০ বছর পুরোনো। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ভারত সরকারের আর্কেলোজিক্যাল সার্ভেকে মসজিদটি অধিগ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।

প্রতি বছর সীমান্তের দু’পারের মানুষ জড়ো হন এ মেলা উপলক্ষে। পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন তারা।

এবারো একই রকম মিলনের আবহে উদযাপিত হবে সংহতি মেলা। মেলায় ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন।
উল্লেখ্য, এ বছর ৬ ডিসেম্বরকে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার দিন হিসেবে পালন করার ডাক দিয়েছে সিপিএম।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১২
সম্পাদনা: জয়নাল ‍আবেদীন, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।