ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৩ জুন ২০২৫, ০৬ জিলহজ ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মুম্বাইয়ে স্বামীকে হত্যার পর ১১ টুকরা করল স্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৪, ডিসেম্বর ১৮, ২০১২
মুম্বাইয়ে স্বামীকে হত্যার পর ১১ টুকরা করল স্ত্রী

ঢাকা: ভারতের মুম্বাইয়ের কল্যাণী শহরে নিজের স্বামীকে হত্যা করে লাশকে ১১ টুকরা করেছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় স্ত্রী, তার বড় ভাই ও ভাইয়ের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।



ত্রিশ বছর বয়সী আতিয়া নামক ওই নারী ভাসুর পারভেজের সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে স্বামী মাহতাবকে হত্যা করেন। এ কাজে আতিয়াকে সাহায্য করেন তার বড় ভাই ও ভাইয়ের বন্ধু।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মন্দিরের কাছে পড়ে থাকা একটি ভারি ব্যাগ থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে পথচারীরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ব্যাগের মধ্য থেকে লাশের টুকরা উদ্ধার করে। সেখানে লাশের কাটা মাথাও ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর নিহতের স্ত্রীকে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে লাশ সনাক্ত করেন।

আরও জানা যায়, দুদিন আগে আতিয়া নিজেই স্বামী নিখোঁজ জানিয়ে তিতওয়ালা থানায় ডায়রি করেছিলেন। সন্দেহের বশে পুলিশ আতিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে নিলে তিনি এক পর্যায়ে নিজেকে স্বামীর খুনি বলে স্বীকার করেন। খুনের সহযোগী হিসেবে আরও গ্রেফতার করা হয় তার বড়ভাই ও ভাইয়ের বন্ধুকে।
       
তিতওয়ালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশ ও সমাজের চোখের ধুলা দিতেই খুন করার পর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার ডায়রি করেছিলেন আতিয়া। তিনি ও তার দুই সহযোগী প্রথমে মেহতারকে গলায় তার পেঁচিয়ে ও পরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। এরপর চাপাতি দিয়ে লাশকে ১১ টুকরা করে পলিথিনে ভরেন।

ওসি আরও জানান, মেহতারের বড়ভাই পারভেজের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল আতিয়ার। কিন্তু মেহতার তা মেনে নিতে পারেননি। এছাড়া মেহতারই তাদের পারিবারিক ডেইরির ব্যবসার দেখাশোনা করতেন। তাকে সরিয়ে দিয়ে ব্যবসার পুরো দখল নিতে চেয়েছিলেন আতিয়া ও পারভেজ।

আতিয়ার স্বীকারোক্তি থেকে জানা গেছে, মোটা অর্থের বিনিময়ে এ হত্যাকাণ্ডে তাকে সাহায্য করেন তার আপন বড়ভাই ও ভাইয়ের বন্ধু।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।