ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে উত্তপ্ত ত্রিপুরা

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৪
শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে উত্তপ্ত ত্রিপুরা

আগরতলা (ত্রিপুরা): সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে  উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি করেছে রাজ্য কংগ্রেস।



শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতি এবং টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।

বুধবার নিজ নির্বাচনী কেন্দ্রের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের উপস্থিতিতেই দলীয় অফিসে তালা দেয় বিক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীরা।

চাকরির ইস্যুতে ক্ষুব্ধ যুবকরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সিপিএম অফিস আক্রমণ করছে। আক্রান্ত হচ্ছেন সিপিএম নেতারাও। সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা খোয়াই মহকুমার।

ত্রিপুরায় বামপন্থীদের আঁতুড়ঘর লাল দুর্গ বলে পরিচিত এই খোয়াই মহকুমায় সিপিএমকে আগে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। রাজ্যে অনেক রাজনৈতিক উত্থান পতন হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে যা হয়েছে তা আগে কল্পনাও করেননি কেউ।

প্রায় এক ডজন সিপিআই (এম) অফিস আক্রান্ত হয়েছে এখানে। উত্তেজিত জনতা এক সিপিএম নেতাকে আক্রমণ করে এ দিন। ভেঙে ফেলা হয় তার বাড়ি।

মহকুমার হাতকাটা, বাইজলবাড়ি, বাচাইবাড়িতে সিপিএম অফিস ভাঙচুর এবং আমপুরা, চাম্পাহাওড়, রতনপুর অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাস্তায় টিএসআর বহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে সরকারকে।

সিপিএম নেতাদের আত্মীয়স্বজনদেরই বেশিরভাগ চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। খোয়াইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষুব্ধ জনতা মাইকিং করে নেতাদের আত্মীয় স্বজনদের চাকরি বাতিল করে যোগ্যদের চাকরি দেওয়ার দাবি জানায়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে সড়ক অবরোধ। ক্ষোভের মুখে খোয়াই সফর বাতিল করে ম‍াঝপথ থেকেই আগরতলায় ফিরে যেতে বাধ্য হন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী।

এদিকে চাকরি না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে খোয়াইয়ে বিষপানে করেন এক নারী। মঞ্জুরী দেবনাথ নামের ওই নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া চাকরি না পেয়ে বৃহস্পতিবার অমরপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন জয়নাল হোসেন নামের এক যুবক।

গত সপ্তাহে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৪ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যালয় শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী। ঘোষণা মত শুক্রবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে সমস্ত নিয়োগপত্র ছেড়ে দেয় রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর।

১৭ বছর ধরে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ না হওয়ায় বিজ্ঞপ্তি পেয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ছিল খুশির হাওয়া। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগপত্র পৌঁছাতেই ক্ষোভ শুরু হয়। কারণ অনেকের ভাগ্যেই জোটেনি সরকারি চাকরি।

বাংলাদেশ সময় : ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৪
সম্পাদনা: জাকারিয়া খান, নিউজরুম এডিটর/রাইসুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর (অ্যাক্ট.)

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।