ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

একসঙ্গে দুই স্ত্রীকে খুন!

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪
একসঙ্গে দুই স্ত্রীকে খুন!

আগরতলা (ত্রিপুরা): আব্দুল মুহিত। পেশায় শ্রমিক।

আগরতলার কৈলাসহরের এ বাসিন্দার তিন স্ত্রী। তিন সতীনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ নিত্যদিনের ঘটনা। সম্প্রতি তার তৃতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু প্রথম সইফা বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী ফয়জুন্নেসার বিবাদ মেটে না।

কী সকালে, কী রাতে তাদের মধ্যে চলে কথার লড়াই, মাঝে মাঝে হাতাহাতি-চুলোচুলি। পারিবারিক এ বিবাদের জেরে আব্দুল মুহিত শনিবার ভোরে এক স্ত্রীকে গলাটিপে ও আরেক স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে খুন করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

প্রথম স্ত্রী সইফা বেগমের বাবার বাড়ি আব্দুল মুহিতের বাড়ির কাছে। সইফার বড় ভাই জানিয়েছেন, দুই সতীনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হত। শনিবার ভোররাতে তাদের বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তিনি ছুটে এসে দেখেন তার ভগ্নীপতি দুই স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির বাইরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

কৈলাসহর থানার অফিসার ইনচার্জ সাবির আহমেদ জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে তারা একটি খবর পান যে, ধলিয়াকান্দি এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের বাইরে আধ পোড়া অবস্থায় পড়ে আছে দুই নারীর মরদেহ।

পুলিশের এ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেহ দুটি যে অবস্থায় ছিল তাতে তাদের প্রাথমিক অনুমান খুন করা হয়েছে তাদেরকে। মরদে উদ্ধার করে নিয়ে আসে
কৈলাসহর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছে।

দুই স্ত্রীকে খুনের পর পালিয়ে যান ৪২ বছর আব্দুল মুহিত। কিন্তু গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফুলিয়াবাড়িকান্দি এলাকা থেকে  তাকে গ্রেফতার করেছে কৈলাসহর থানা পুলিশ। মহকুমা আদালতে তাকে পাঠালে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

প্রথম স্ত্রী সইফা বেগমের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী ফয়জুন্নেসারও রয়েছে এক সন্তান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।