ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

গুলির লড়াইয়ে কাশ্মীরে ২ জঙ্গিসহ নিহত ৩

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৪
গুলির লড়াইয়ে কাশ্মীরে ২ জঙ্গিসহ নিহত ৩

ঢাকা: ভারতের লোকসভা নির্বাচন হুমকির মুখে ফেলতে ঠিক তার আগ মুহূর্তে জঙ্গি হামলা ঘটল জম্মু-কাশ্মীরে৷ শুক্রবার ভোরে কাঠুয়া জেলায় গাড়িসহ একজনকে অপহরণ করে জঙ্গিরা৷ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে যাত্রীবোঝাই ওই গাড়িটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় সেনার পোশাক পড়া তিন জঙ্গি।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে একজনের৷ গুরুতর আহত চারজন৷ যাত্রীরা স্থানীয় বাসিন্দা নাকি কাশ্মীরে ঘুরতে আসা পর্যটক তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।



এদিন এক যাত্রীকে অপহরণ করে কালীবাড়ি-জংলোট এলাকায়। এরপর একটি সেনাচৌকিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা৷সেনা-জঙ্গি দু'পক্ষের মধ্যেই প্রবল গুলির লড়াই চলে৷ জঙ্গিরা কাঠুয়ার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়৷ ইতিমধ্যেই সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদীর।

আহত এক জঙ্গির খোঁজে হেলিকপ্টারে করে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ কোনওভাবেই যাতে ওই জঙ্গি সড়কপথে পালাতে না পারে সে কারণে পাঠানকোট হাইওয়েতেও জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট৷ লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গিরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে সেনাবাহিনীর অনুমান৷ অন্যদিকে ‘শোহাড়া ব্রিগেড' নামে একটি জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

কয়েকদিন আগেই সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানি জঙ্গিদের একটি দল কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল৷ লোকসভা নির্বাচনের সময় দেশজুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে পুলিশের দাবি৷ এই নিয়ে গত ছ'মাসের মধ্যে দু'বার কাঠুয়া জেলায় হামলা চালাল সন্ত্রাসবাদীরা।
              
শুক্রবার ভোর পাঁচটা৷ জম্মু-কাশ্মীরের দয়ালচক এলাকা দিয়ে পাঁচ আরোহীকে নিয়ে ছুটছিল বোলেরো গাড়িটি৷ কাঠুয়া জেলার তারনাহ নাল্লাহ ব্রিজের কাছে গাড়িটি আসতেই সেনার পোশাক পরিহিত কয়েকজন জঙ্গি গাড়ির পথ আটকে দাঁড়ায়৷ জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে তারা।

গুলিতে নিহত হন একজন৷ আহতদের ফেলে এক চালককে অপহরণ করে গাড়ি নিয়ে পালায় সন্ত্রাসবাদীরা৷ এভাবে সরাসরি পণবন্দির ঘটনা জঙ্গি ইতিহাসে বিরল৷ কিন্তু কিছুদূর এগিয়েই কালীবাড়ি-জংলোট এলাকায় একটি সেনাচৌকিতে হামলা চালায়৷ গুলি লেগে এক সেনা আহত হয়েছেন৷ টানা দু'ঘণ্টা ধরে দু'পক্ষের গুলির লড়াই চলে৷ শেষপর্যন্ত দুই জঙ্গি নিহত হলেও এখনও এক হামলাকারীর খোঁজ মেলেনি৷ জখম যাত্রীদের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই হামলার ঠিক দু'দিন আগেই কাঠুয়া জেলার হীরানগর-দয়ালচক এলাকায় জনসভা করেছিলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি৷ মোদি ওই সভায় পাকিস্তানের জঙ্গিদের সমালোচনা করেছিলেন৷ গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর কাঠুয়াতেই থানা ও সেনাচৌকিতে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরাওই ঘটনায় চার পুলিশ ও এক সেনা অফিসারসহ নিহত হয়েছিল দশজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।