ঢাকা: জল্পনা কল্পনাকে একপাশে সরিয়ে রেখে নরেন্দ্র দামোদর মোদীই হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই।
প্রতিদ্বন্দ্বীদের নকআউট করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট শুক্রবারের ফল ঘোষণায় তা সুষ্পষ্ট ।
১৬ তম এই লোকসভা নির্বাচনে যতটা না বিজেপি জয়ী তার থেকে বেশি বিজয়ী নরেন্দ্র মোদী। মূলত ‘ব্রান্ড মোদী’র বাঁধানো পথ ধরেই তরতর করে এগিয়ে চলেছে বিজেপির বিজয় রথ।
কুরসি যখন নিশ্চিতই, তখন দেখা যাক জ্যোতিষীর চোখে কেমন যাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাল।
ভারতের প্রখ্যাত জ্যোতিষী প্রেম সি শর্মার চোখে মোদী হলেন স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম একজন ধুরন্ধর কূটনীতিক। তবে কোণঠাসা হলে পড়লে হতে পারেন বেপরোয়া, প্রয়োজনে ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ নিতেও পেছপা হবেন না তিনি।
তার কুন্ডলীতে জুনে বৃহস্পতি এবং জুলাইয়ে শনির ক্রান্তিকাল থাকায় ঘটতে পারে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। পররাষ্ট্র নীতি এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারেন তিনি। পাশাপাশি শিক্ষা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিতে পারেন নতুন নতুন প্রকল্প।
তবে মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য সুখবর নেই। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আকস্মিক এবং অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ নেবেন তিনি। ফলে তাদের সঙ্গে বাড়বে বৈরিতা। দক্ষিণ এশিয়ায় শুরু হতে পারে নতুন করে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা।
জ্যোতিষের গণনায় মোদীর শাসনামলে দুর্নীতি কমার কোনো আভাস মেলেনি, দুর্নীতি চলতে থাকবে অপ্রতিরোধ্য গতিতেই। তবে শেয়ার বাজার, ডলার ব্যবসা এবং আমদানি রফতানি বাণিজ্য সহ সামগ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য এগিয়ে চলবে তড়তড়িয়ে।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির পর ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে। প্রসারিত হবে চাকরির বাজার। ব্যবসায় লাভের অঙ্ক বাড়ায় সুবিধা হবে ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৪