ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বাংলাদেশির জন্য ছাড় ৩৫%

শীতের ফ্যাশনের আভিজাত্য আসল কাশ্মীরি শাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪
শীতের ফ্যাশনের আভিজাত্য আসল কাশ্মীরি শাল

কলকাতা: ঝরে পড়া শুকনো পাতার ওড়াউড়ি আর উত্তরে হাওয়ার ঠাণ্ডা পরশ জানান দিচ্ছে দোর গোড়ায় হাজির শীত। ভোরের ফিনফিনে কুয়াশায়ও চোখ এড়ায় না গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া।

গোটা প্রকৃতি যেন প্রস্তুত হচ্ছে কাশ্মীরি বাহারি শালে নিজেকে জড়িয়ে শীত উপভোগ করতে।

আলমারির আড় ভেঙে বের হচ্ছে শীতের সব পোশাক। সঙ্গে চলছে হালের সব ফ্যাশনেবল শীতের কাপড় কেনা। তবে হাজার ফ্যাশনের মধ্যেও চোখ আটকে যায় সব সময় ফ্যাশনের দাবিদার আসল কাশ্মীরি শাল। ফ্যাশনে আভিজাত্য আনতে বিকল্প নেই কাশ্মীরি শালের।

শীতের উজ্জ্বল আকাশে মিষ্টি রোদে উজ্জ্বল সব পোশাকের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন শীতের পরিবেশকে দেয় নতুন মাত্রা।

শীতের ফ্যাশনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে শাল আর চাদর। আর সেই শাল যদি হয় কাশ্মীরি পশমিনা, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু কেমন হয় আসল পশমিনা? কি-ই বা তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য?

অনেক জায়গাতেই পশমিনা বা কাশ্মীরি  শাল বলে যা বিক্রি করা হয় সেগুলি কি আসল পশমিনা? একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে একটু সচেতন হলে আপনি নিজেই চিনে নিতে পারবেন আসল কাশ্মীরি শাল।

আসল পশমিনা আর ভারতের কাশ্মীরি শালের খোঁজ করতে বাংলানিউজ হাজির হয়েছিলো কলকাতায়। উদ্দেশ্য ভারতের কাশ্মীরে তৈরি আসল পশমিনা শাল খুঁজে বের করা।

বেশ কিছু জায়গা ঘুরে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে পৌঁছালাম কলকাতার কাশ্মীরি শালের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও আধুনিক ডিজাইনের শাল প্রস্তুতকারী ৮৬ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠান ‘পমপোশ কাশ্মীরি শাল এম্পোরিয়াম’-এ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পমপোশ কাশ্মীরি শাল এম্পোরিয়াম প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শাল তৈরি করে আসছে। ভারতের স্বাধীনতার ২০ বছর আগে কলকাতার প্রথম তৈরি হওয়া শালের দোকান এটি। আভিজাত্যের নিরিখে এদের ধারেপাশে আর কোনো প্রতিষ্ঠানকে বসানো কঠিন।

সুচ-সুতোর মাধ্যমে অপূর্ব নকশাকাটা পশমিনা। শীতের দিনে শুধু উষ্ণতা নয়, পশমিনায় জড়িয়ে থাকে আভিজাত্যের মেজাজ। আসল পশমিনা শাল হয়ে উঠতে পারে আপনার আভিজাত্যের প্রতীক।

‘কানি পশমিনা’ জগত বিখ্যাত। জানা গেল, গোটা বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক রাষ্ট্র নেতার পোশাকের সংগ্রহে রয়েছে এই শাল। শুধু কাঠের সুচ দিয়ে বোনা হয় এ শাল। দাম ৮ হাজার রুপি থেকে শুরু। সাড়ে ৪ লাখ রুপির শালও যথেষ্ট বিক্রি হয় এ দোকানে।

এছাড়াও রয়েছে আড়াই হাজার রুপির সেমি পশমিনা। সমস্ত শালেই রয়েছে কাশ্মীরের শিল্পীদের হাতের ছোঁয়া।

তবে এখানেই শেষ নয়। কলকাতার এই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের মানুষদের জন্য একটি বিশেষ উপহার নিয়ে এসেছে এ বছরই প্রথম।

কলকাতার সবচেয়ে প্রাচীন এ শালের দোকানে হাজির হয়ে আপনাকে দেখাতে হবে আপনার বাংলাদেশি পরিচয়পত্রটি। তাহলেই শালের দামের থেকে আপনি পেয়ে যাবেন ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।

দুই বাংলার পারস্পারিক বন্ধুত্বকে সম্মান জানিয়ে এ উদ্যোগ বলে জানালেন ‘পমপোশ কাশ্মীরি শাল এম্পোরিয়াম’-এর অন্যতম কর্ণধার সাজাদ পমপোশ।

তাই যদি আপনার পোশাকভাণ্ডারে যোগ করতে চান আভিজাত্যের একটি পালক, তবে হাজির হোন কলকাতার নিউমার্কেট (নিউ কমপ্লেক্স)-এর ‘পমপোশ কাশ্মীরি শাল এম্পোরিয়াম’-এ। আর যদি ফোনে কোনো তথ্য জানতে চান তবে যোগাযোগ করতে পারেন ৯১ ০৩৩ ২২৫২১৯৬২ অথবা ইমেল করতে পারেন- [email protected]-এ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।