ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গের ৩ জেলায় ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১১
পশ্চিমবঙ্গের ৩ জেলায় ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলায় শনিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এদিন তিন জেলায় ৮০ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।



কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বীরভূম, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের ৫০টি কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোট নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি।

বীরভূমে ১১টি কেন্দ্রে ৫৬ জন, নদীয়ায় ১৭টি কেন্দ্রে ৯৪ জন ও মুর্শিদাবাদে ২২টি কেন্দ্রে ১৪২ জন প্রার্থী রয়েছেন। এই তিন জেলায় বুথের সংখ্যা ১১হাজার ৫৩১টি।

তিন জেলায় মোট ভোটার ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৭১ জন। এসব জেলায় প্রচুর সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটার রয়েছেন।

ভোটে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে মোট ৪৯৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

ইসি জানিয়েছে, বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে মোট ভোট পড়েছে ৮০ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদে ৭৯ দশমিক ৫০, নদীয়ায় ৮০ দশমিক ৯৬ ও বীরভূমে ৮১ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়ে।
 
এদিকে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ ছিল শান্তিপূর্ণ। সকাল থেকেই প্রতিটি বুথে অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন।

ইসি জানিয়েছে, পলাশীপাড়ায় সিপিএমের পোলিং এজেন্ট গ্রেপ্তার হয়েছেন। বীরভূম জেলার ইলামবাজারে একটি বুথ দখলের অভিযোগ এসেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

মুর্শিদাবাদের ডোমকলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নদীয়া জেলার রানাঘাটের একটি বুথে প্রিজাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন ভোটারদের কাছে।

বীরভূমের নানুরে ২৪টি বুথে সিপিএমের পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে বাধা ও ভোটারদের ভয় দেখানোর ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে দুই জন প্রিজাইডিং অফিসার গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলেডাঙায় কর্মরত অবস্থায় সানস্ট্রোকে মৃত্যু হয় পুলিশের এএসআই দীপক বড়ুয়ার। এছাড়া ভরতপুরে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একজন মহিলা ভোটার সানস্ট্রোকে মারা যান।
 
ওই জেলারই কালিগঞ্জে চাপাইগ্রামের দু’টি বুথে ভোট বয়কট হয়েছে পঞ্চায়েত কাজ না করার অভিযোগে। এখানে ৪৫০ জন ভোটার রয়েছে।  

এছাড়াও মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি, শক্তিপুর, নওদা, ভাদুর, আলিনগর ও ভরতপুরে পানীয় জল ও সড়কের দাবিতে ভোট বয়কট হয়।

এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ পর্বেই রয়েছেন নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে জোটের বিরুদ্ধে একাধিক প্রার্থী। এই দুই জেলার ৮টি কেন্দ্রে তারা লড়াই করছেন। তৃণমূল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তাদের দাঁড় করিয়েছেন  প্রভাবশালী কংগ্রেসনেতা শংকর সিং ও সাংসদ অধীর চৌধুরী।

তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের ডোমকল কেন্দ্রে রাজ্যের মন্ত্রী আনিসুর রহমান। তার বিরুদ্ধে রয়েছেন তসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলনের নেতা পিডিসিআই প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, এই জেলারই জলঙ্গি কেন্দ্রে রয়েছেন আন্দোলনের আরও এক নেতা তৃণমূলের ইদ্রিস আলি।  

বীরভূমের নলহাটি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি, এই জেলারই সাঁইথিয়া কেন্দ্রে তৃণমূলের বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী পরীক্ষিৎ বালা ও নদীয়ার কৃষ্ণনগরে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের সাবেক পুলিশ কর্তা অবনি জোয়ার্দার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।