কলকাতা: দলের শীর্ষ নেতা সবাইকে তিনি বিধায়ক করতে পারেননি। তার পক্ষে থাকা সমাজের বিভিন্ন স্তরের অনেকই পদ চান।
তৃণমূল সুত্রের খবর, আগামী ২৭ জুন তাদের পক্ষ থেকে বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করা হবে বিধান পরিষদের।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রস্তাবটি সহজেই পাশ হয়ে যাবে। কারণ, প্রস্তাবের পক্ষে বিধানসভায় উপস্থিত দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। তৃণমূল জোটের বিধায়ক সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।
বিরোধী জোট বামফ্রন্ট নীতিগতভাবেই বিধান পরিষদ গঠন করার বিষয়ে আপত্তি জানাবে। তুলবে এ পরিষদ গঠনের জন্য অনাবশ্যক খরচ প্রসঙ্গও।
শাসকদলের অন্যতম সদস্য বামদল এস ইউ সি এ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও প্রস্তাবটি পাস করতে কোনও অসুবিধায় পড়তে হবে না তৃণমূলকে।
তৃণমূল সুত্রে আরও জানা গেছে, বিধান পরিষদ গড়ার খসড়া প্রস্তাবটি তৈরি করা হচ্ছে। প্রস্তাবটি বিধানসভায় গৃহীত হলে তা পাঠানো হবে সংসদে। সেখানে সংসদের দু’টি কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভায় অনুমোদনের পর তা যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই গঠন করা হবে বিধান পরিষদ।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত বিধান পরিষদের সদস্য হবেন ৯৪ জন। এ পরিষদের অধিবেশন বসবে বিধানসভা ভবনের নৌসাদ আলি কক্ষে।
বিধান পরিষদ গঠন নিয়ে বিরোধী দলনেতা ডা. সূর্যকান্ত মিশ্র কলকাতায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘ বিধান পরিষদ গঠন একটি বড় বিষয়। বামফ্রন্টের বৈঠকে আলোচনা হবে এ ইস্যুতে পরিষদীয় দল কী ভূমিকা গ্রহণ করবে। ’
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে সাবেক দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট সরকারের সময় বিধান পরিষদ রাজ্যে অবলুপ্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১১