ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সিঙ্গুর প্রকল্পের জমি ফেরতের বদলে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে টাটা

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১১

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরের জমি নিয়ে যখন জটিলতার সৃস্টি হয়েছে, ঠিক তখনই জমি ফেরত দেবার কথা বলে টাটা কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলো। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন এক বির্তক দেখা দিল।



রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে এই মর্মে টাটা কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

এই চিঠিতে তারা সিঙ্গুর প্রকল্পের জমি ফেরত দেওয়ার জন্য সম্মতি জানিয়ে বলেছে, তারা প্রকল্পের জমি ফেরত দেবেন কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। ’

এই চিঠিতে তারা প্রকল্প বাবদ ব্যয়ের কথাও উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ প্রকল্পের জন্য ব্যয় হয়েছে ৪৪০ কোটি রুপি। এরপর ভেন্ডারদের খাতে খরচ হয়েছে আরও ১৭০ কোটি রুপি। অর্থাৎ প্রকল্পের জন্য তাদের  মোট ব্যয় হয়েছে ৬১০ কোটি রুপি। ’

রাজ্য সরকারের একটি সুত্র জানিয়েছে, জমির বিনিময়ে তারা ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, সাবেক বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও যখন তৃণমুলের বিরোধীতার জেরে ন্যানো কারখানা বন্ধ হয়ে যায়, তখনও টাটার কর্ণধার রতন টাটা ক্ষতিপূরণ পেলে জমি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।

এদিকে জানা গেছে, এই জমি নেওয়ার বিষয়ে অর্ডিন্যান্স জারি না করে বিধানসভায় জমি অধিগগ্রহণ আইনের সংশোধনী এগিয়ে আনা হচ্ছে। পূর্ব নির্ধরিত ২৪ জুনের বদলে ১৩ জুন শুরু হবে বিধানসভা অধিবেশন।

প্রথম দিন নিয়ম মেনে প্রথমেই রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ভাষণ দেবেন। এরপরই এই বিল পেশ করা হবে। তৃণমুলের জোটের সংখ্যাগরিষ্টতার কারণে তা সহজেই পাশ হয়ে যাবে। এরপর তা ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি সই করে দিলেই তা আইনে পরিণত হবে।

সেক্ষেত্রে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পূরণ করতে আর কোন বাধা থাকবে না।

ভারতীয় সময়: ২২০০ ঘন্টা, জুন ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।