কলকাতাঃ রাজ্যে শিল্পের রুপরেখা নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার বিকেলে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানর্জি। কলকাতার আলিপুরের এক অভিজাত ক্লাবে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এতে অংশ নেন রাজ্যের পাশাপাশি সারা দেশের সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৩০০ জন শীর্ষকর্তা। শিল্পের রুপরেখা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যে বিনিয়োগের ব্যাপারে শিল্পপতিদের মতামত নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘ শিল্প বিনিয়োগের জন্য সেল তৈরি করা হবে। জোর করে জমি নিলেই সমস্যা হবে। অর্থমন্ত্রকের অধীনে সেল তৈরি করা হবে। শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এই সেল কাজ করবে। পানি ও বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করা হবে। ’
রাজ্যে বন্ধ কারখানার জমিতে নতুন শিল্প গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি এদিন জানান।
জমির সমস্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘ রাজ্যে ল্যান্ড ম্যাপ তৈরি হচ্ছে। অনগ্রসর এলাকায় শিল্পস্থাপনের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ৪৯ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে শিল্পের জন্য। ’
বিদেশি বিনিয়োগ আসছে বলে মমতা বলেন,‘ অক্টোবরে জাপানি বিনিয়োগকারীরা আসছেন। জাপানের ধাঁচে রাজ্যে শিল্প হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ শিল্প স্থাপনের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে কোর কমিটি হচ্ছে। এই কমিটিতে সরকার ও বণিকসভার সদস্যারা মিলিয়ে ২৩ জন সদস্য থাকছেন। ১৫ দিন অন্তর কোর কমিটির বৈঠক বসবে। শিল্পায়নের পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ দেবে কোর কমিটি। ’
শিল্পের জন্য জমি কিনতে গেলে দালালদের সমস্যা থাকবে। তবে কেউ বেশী দামে জমি কিনবেন না এদিন পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতার পরিকাঠামো উন্নত করা, সড়ক সংকারের জোর দেওয়ার কথা বলে তিনি বলেন,‘অন্যকাজ প্রায় শেষ। এবার জোর শিল্প আর কৃষিতে। দ্রুত কাজ করতে হবে। গুজরাট মডেল নয়, বেঙ্গল মডেলে শিল্পায়ন হবে। প্রতি জেলায়,ব্লকে হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। দিল্লির প্রগতি ময়দানের ধাঁচে পার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হবে।
সবশেষে মমতা ব্যনার্জি বলেন,‘ এক-একটা দিন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে লাল ফিতের ফাঁস এড়াতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
ভারতীয় সময়: ০২৪০ ঘন্টা, জুন ১৯, ২০১১