কলকাতা: মহানগরীতে হাতে টানা মনুষ্যবাহী রিকশাকে বাতিল না করার দাবি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন ‘হাত রিকশা রোজগার বাঁচাও’ মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
সেইসঙ্গে নিজেদের পুর্নবাসিত হওয়ার দাবিও রয়েছে তাদের।
সোমবার সংগঠনের আহ্বায়ক মোক্তার আলি কলকাতায় বাংলানিউজকে বলেন,‘ হাত টানা রিকশা তুলে দিলে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে আমরা এই কথাটিই বলতে চাই। ’
উল্লেখ্য, হাতে টানা রিকশা প্রথম চালু হয় ১৮৬৮ সালে জাপানে। ১৮৮০ সালে ভারতে সিমলা শহরে তা প্রথম চালু হয়।
এর ২০ বছর পরে চীনা ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনের জন্য তা কলকাতায় নিয়ে আসেন ক্যান্টন বন্দর থেকে।
১৯১৪ সালে চীনারা পণ্য পরিবহনের পরিবর্তে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন কলকাতার তৎকালীন নগর কর্তৃপক্ষর কাছে। সেই থেকে কলকাতায় এই রিকশা চলছে।
প্রথম দিকে চীনারা এ পেশায় থাকলেও পরে পেশাটি চলে যায় বিহার থেকে আগত মানুষজনের হাতে। এ পেশায় কোনও বাঙালি কখনই যাননি।
বর্তমানে কলকাতার মধ্য ও উত্তর অংশে এই টানা রিকশা দেখা যায়। দক্ষিণ কলকাতায় এ রিকসা কোনও দিনই ছিল না। যদিও কলকাতা হ্যাকারি ক্যারেজ (পরিবর্তিত) বিলে ২০০৬ সালে এই রিকশাগুলোকে নিষিদ্ধ করা কথা বলা হয়েছে।
বর্তমানে ৫ হাজার ৯৩৭টি রিকশার লাইসেন্স আছে। অমানবিক বিবেচনায় হাতে টানা রিকশা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা অনেকবারই হয়েছে। কিন্তু কলকাতায় বর্ষাকালে সড়কে পানি জমে গেলে হাতে টানা রিকশাই হয়ে ওঠে অন্যতম পরিবহন।
এছাড়া এটি কলকাতার একটি ঐতিহ্য পরিগণিত। তাই এটা বন্ধ করা উচিত নয় বলে নগরবাসীর একাংশ মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১১