কলকাতা: ভারতের অন্যান্য রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার ৬টি আসনের নির্বাচনের জন্য মঙ্গলবার (আজ) বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। ১২ জুলাই মনোনয়ন পত্র পেশের শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে।
বর্তমান রাজ্যসভার সদস্য সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাত, মহম্মদ আমিন, আরএসপির অবণী রায় ও তৃণমূলের স্বপন সাধন বসুর ৬ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এছাড়া কংগ্রেসের অর্জুন সেনগুপ্তর মৃত্যুতে ওই আসনটি খালি রয়েছে। সেই আসনগুলির জন্যই নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
৬টি আসনের মধ্যে বর্তমানে ৪টি ছিল বামদের দখলে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের দখলে ছিল ১টি করে আসন। এবারের নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীর ৪২টি করে প্রথম পছন্দের ভোট প্রয়োজন।
বর্তমানে তৃণমূলের বিধানসভায় ১৮৪ জন বিধায়ক থাকায় প্রথম পছন্দের ভোট পেয়েই ৪টি আসনে জয় সুনিশ্চিত। কংগ্রেসের ৪২ ও বামফ্রন্টের ৬১ জন সদস্য থাকায় দ’ুদলই একটি করে আসনে জয় পেতে চলেছে।
শাসক দল তৃণমূল পক্ষ থেকে এবার রাজ্যের সাবেক আমলা দেবব্রত ব্যানার্জি, বর্তমান সাংসদ স্বপন সাধন বসুর ছেলে তথা কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক প্রতিদিন এর সম্পাদক সৃঞ্জয় বসু ও অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ডেরেক ও ব্রায়ানের প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, বাঁকি ১ জন প্রার্থীর নাম এখনও ঠিক হয়নি। এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে, বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে গতবারের বিজয়ী সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি ১টি আসনে প্রার্থী হচ্ছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসর রাজ্যসভার ১টি নিশ্চিত আসনের জন্য প্রার্থিতা নিয়ে মতৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য কংগ্রেসের একাংশ চাইছেন ব্যারকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাবেক সাংসদ দেবি ঘোষালকে। অপর একটি অংশ চাইছে প্রার্থী করা হোক দলের রাজ্যের বর্তমান কার্যনির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্যকে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, দিল্লির হাইকমান্ড দু’পক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবে। বুধ বা বৃহস্পতিবার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১১