কলকাতা: উন্নয়নের প্যাকেজকে হাতিয়ার করেই জঙ্গলমহলের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জঙ্গলমহলের প্রথম সফরের প্রথম দিনে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে নয়াগ্রামে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা দিলেন মমতা।
এদিন তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভালোবাসতে হলে কাজ দিয়েই ভালোবাসতে হবে। তাই জঙ্গলমহলের প্রতিটি মানুষ যাতে কাজ পায়, রাজ্যসরকার তার ব্যবস্থা করবে। এর জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে জঙ্গলমহল থেকে ১০ হাজার ছেলেমেয়েকে পুলিশে চাকরি দেওয়া হবে। গড়ে তোলা হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেশের জন্য অস্ত্র নিয়ে লড়তে রাজি আছেন? তাহলে আপনারা পুলিশে যোগ দিন। ’
বিগত বামফ্রন্ট সরকারের সমলোচনা করে মমতা বলেন, ‘জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। শিক্ষা, স্বাস্থ্যে বেশ পিছিয়ে রয়েছে এই অঞ্চল। তবে প্রতিশ্রুতি মতো সরকার গড়ার মাত্র পঞ্চাশ দিনের মাথায় জঙ্গলমহলে উন্নয়নের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ’
উন্নয়নের প্যাকেজ ঘোষণা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য নয়াগ্রাম, শালবনী ও গোপিবল্লভপুরে তৈরি করা হবে কলেজ। এছাড়া ২৩৫টি মাধ্যমিক স্কুল উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা হবে। ৯০০টি সাঁওতালী ভাষায় স্কুল তৈরি হবে। গড়ে তোলা হবে কারিগরি ট্রেনিং সেন্টার। ৬ মাসের মধ্যে চালু হবে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র। তেমনি জেলার হাসপাতালগুলো ঢেলে সাজানো হবে। ’
মমতা বলেন, ‘জঙ্গলমহলের মানুষকে সপ্তাহে দুই দিন ২ রুপি কেজি দরে চাল সরবরাহ করবে রাজ্য সরকার। তেমনি পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ১ শ’ ২২ কোটি রুপি ব্যয়ে জলের প্রকল্প তৈরি করা হবে। ’
এদিন নয়াগ্রামে একটি স্টেডিয়াম তৈরির ঘোষণা দেন তিনি।
আবারও মাওবাদীদের অস্ত্র ছাড়ার আহ্বান করে মমতা বলেন,‘মাওবাদীরা অস্ত্র সংবরণ করে মূল স্রোতে ফিরে এলে তাদের বিশেষ প্যাকেজ দেবে রাজ্য সরকার। ’
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্যকারিগরী মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১১