ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

গোর্খাল্যান্ড রাজ্যই লক্ষ্য: জনমুক্তি মোর্চা

রক্তিম দাশ,সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১১
গোর্খাল্যান্ড রাজ্যই লক্ষ্য: জনমুক্তি মোর্চা

কলকাতা: ঐতিহাসিক পাহাড় চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পৃথক গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং।

তিনি বলেন, ‘তরাই-ডুয়ার্সের এলাকা সংযোজন না হওয়া পর্যন্ত গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।



মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে পিনটেল ভিলেজের সভায় বিমল গুরু বলেন, ‘আমরা গোর্খাল্যান্ডের দাবি ছেড়ে চুক্তি করিনি। আর গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্যই আমি নিজে চুক্তিতে স্বাক্ষর করিনি। স্বাক্ষর করেছেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। ’

এদিন তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ভাগ হতে দেবেন না বলেছেন। আসলে তার উপর একটা রাজনৈতিক চাপ আছে। বাধ্যবাধকতা আছে। সে কারণেই উনি বাংলা ভাগ হতে দেবেন না বলেছেন। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড আমাদের হৃদয়ে আছে। আমাদের দাবি আদায় করে নিতে হবে। ’

রোশন গিরি বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ডের জন্য আমাদের আন্দোলন চলবে। বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বেই সেই আন্দোলন হবে। শুধু তাই নয় জিটিএ গঠিত হওয়ার পরেও তিনি কোন পদে থাকবেন না। ’

আসলে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় বিমল গুরং নিজের দায় এড়াতেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। বিষয়টি আবরও প্রমাণিত হয়েছে রোশন গিরির কথায়। রোশন গিরি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘গোর্খাল্যান্ড হলেই বিমল গুরুং স্বাক্ষর করবেন। ’

এদিকে, চুক্তি নিয়ে তরাই-ডুয়ার্সে ব্যাপক প্রচার অভিযান চালানোরও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোর্চা সভাপতি। তরাই-ডুর্য়াসের নতুন এলাকা সংযোজনের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তার জন্য যে সমীক্ষা হবে, তাতে সহযোগিতার জন্য ওই এলাকার প্রতিটি নেপালি পরিবারের বাড়িতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পতাকা টাঙানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘তরাই-ডুয়ার্সের নতুন এলাকা সংযোজন না হলে, জিটিএ’র নির্বাচন হবে না। ’

অথচ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে পাহাড়ে নির্বাচন হবে। চুক্তিতেও সে কথা বলা হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের জটিলতা তৈরি হতে শুরু করলো পাহাড়ে। তরাই ও ডুয়ার্সে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, আগামী দিনে তা আরও বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সিপিএম নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘চুক্তি নিয়ে আমরা যে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলাম, তই সত্যি বলে প্রমানিত হতে চলেছে। এখন কামতাপুরী, গ্রেটার কোচবিহারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগলোও এর সুযোগ নিতে চাইবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২০,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।