কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য খেলার মাঠই মন্দির-মসজিদ।
ভারতের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের ৯২তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন ।
এদিন সন্ধ্যায় কলকাতার ময়দানের ক্লাব তাঁবুতে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন ফুটবলারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্লাবের প্রতি বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন পেয়েছেন সাবেক ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি ও সুধীর কর্মকার।
‘ভারত গৌরব’ সম্মান পাচ্ছেন ভারতীয় দলের ওলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী সাবেক হকি খেলয়াড় লেসলি ক্লডিয়াস। এছাড়াও বিশেষ সম্মান দেওয়া হয় রেফারি প্রদীপ নাগ ও দিলীপ সেনকে, প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক শ্যামসুন্দর ঘোষ ও চিরঞ্জীবকে।
গত বছরের দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য বর্ষসেরা পুরস্কার পান ফুটবলার মেহতাব হোসেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও একজন ক্রীড়াপ্রেমী। প্রতিটি ক্লাবের উত্থানের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে তাদের সমর্থকদের। আর তাদের জন্যই ক্লাবের সফলতা আসে। ’
তিনি খেলাধুলাকে বাঙালির প্রিয় রসগোল্লা ও রাজভোগের সঙ্গে তুলনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বকশী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রাবণী সেন, রুপঙ্কর ও মনোময় ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, এই দিনটিতেই ৯২ বছর আগে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের ময়মনসিং জেলার টাঙ্গাইলের নাগরপুর গ্রামের জমিদার প্রয়াত সুরেশ চৌধুরী কলকাতায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।
তখন থেকে মোহনবাগান ক্লাব ও ইস্টবেঙ্গলের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রবল রেশারেশির সূত্রপাত্র হয়। অচিরেই মোহানবাগান পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি অর্থাৎ কলকাতায় যারা ‘ঘটি’ নামে পরিচিত তাদের আভিজ্যাতের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। পক্ষান্তরে ইস্টবেঙ্গল পূর্ববঙ্গের বাঙালি যাদের বলা হত ‘বাঙাল’, তাদের ক্লাব বলে পরিচিতি লাভ করে, যা দেশভাগের পরে আজও বর্তমান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১১