কলকাতা: বাংলাদেশের অনুরোধ মেনে ভারত ভূখণ্ডে তিনবিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে- এই খবরে কুচবিহার জেলাজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি ভারত সরকারের কড়া সমলোচনার পাশাপাশি সর্বশক্তি দিয়ে এই উদ্যোগ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে ডান, বামসহ সব রাজনৈতিক দল।
তিনবিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলা রেখে বাংলাদেশিদের যাতায়াতের অনুমতি দিলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে, বাংলাদেশের মূল ভূখ- থেকে সন্ত্রাসীরা এই সুযোগে দহগ্রাম ছিটমহল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে, এই কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
আসন্ন মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে সঙ্গী হলে মমতা ব্যানার্জি যেন এই প্রস্তাবে কখনই সম্মতি না দেন সে বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আবেদন করেছেন বলে তৃণমূল সুত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, তিনবিঘা সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক ও ফরওর্য়াড ব্লকে বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী বাংলানিউজকে টেলিফোনে বলেছেন, ‘তিনবিঘা নিয়ে ভারত সরকারের দেশ ও জনস্বার্থ বিরোধী উদ্যোগ সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। ’
সিপিএমের নেতা ও কুচবিহারের সাংসদ তারিনী রায় বৃহস্পতিবার কলকাতায় বলেন, ‘আমরা এর বিরোধীতা করছি। ভারতীয়দের যাতায়াতে জন্য উড়ালপুল নির্মানের যে প্রস্তাব ভারত সরকার দিয়েছে তা মানছিনা। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমরা প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলব। ’
বিজেপির কুচবিহারের জেলা সভাপতি নিখিলকুমার দে বলেছেন,‘ এই পদক্ষেপ জনগণের স্বার্থ বিরোধী। এটা ২৪ ঘণ্টা খুলে রেখে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশে আধিপত্য কায়েম হবে। ’
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এই পরিস্থিতি সবকটি রাজনৈতিক দল এক হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষও এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধী। প্রস্তাবটি কার্যকরি হলে আপাতত যা মিটিং মিছিলের মধ্যে বিরোধীতা হচ্ছে তা ব্যাপক অশান্তির রূপ নেবে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা বিষয়টি মহাকরণে জানিয়েছেন। কারণ কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে তা তাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১১