কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়ে বুধবার প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঐক্যমত্য পোষণ করল। এদিন মহাকরণে নয়া সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১টায় এই সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়। মূলত তিনটি বিষয় এ দিনের আলোচনা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিবঙ্গের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে রাজ্যের শিল্প ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর ওপরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন।
বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরের নাম তাম্রলিপ্ত হবে না। যা ছিল তাই থাকবে। সর্বসম্মতভাবে এটা ঠিক হয়েছে। এছাড়া ভৌগোলিক ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য বেশ কয়েকটি নতুন জেলার প্রস্তাব করেছে রাজ্য সরকার। ’
তিনি আরও বলেন,‘ বর্ধমান জেলা থেকে শিল্পনগরী আসানসোলকে আলাদা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়াও জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাকে পৃথক করার কথা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রামকে আলাদা জেলা করা এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদকে ভেঙে দুটি পৃথক জেলা করা হয়েছে। ’
এদিকে, ১৮ জুলাই এর দার্জিলিং চুক্তি নিয়ে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান। তাকে বিষয়টি অবগত করার জন্য নিজের কক্ষে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
পরে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন,‘ রাজ্যের নাম পরিবর্তনে তাদের আপত্তি নেই কিন্তু পরিকাঠামোর দিক থেকে আলোচনার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। ’
তবে দার্জিলিং প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কিছু বলবেন না বলে এদিন জানান।
দ্বিতীয় সর্বদলীয় বৈঠক হবে আগামী ১৯ আগস্ট বিকেল ৪টায়।
এদিনের বৈঠকে বামফ্রন্টের পক্ষে সূর্যকান্ত মিশ্র, রবিন দেব, সুভাষ নস্করসহ ৮ জন প্রতিনিধি মহাকরণে যান, রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কংগ্রেসের ২ জন এবং এসইউসিআইয়ের ২ জন এও গোর্খাজনমুক্তি মোর্চার ৩ জন রোশান গিরি, হরকা বাহাদুর ছেত্রী, রহিত শর্মা এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূলের পক্ষে মমতা ব্যানার্জি, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায় ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১১