কলকাতা: মৌসুমী অক্ষরেখায় ঘূর্ণবর্তের বৃষ্টিতে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ৯ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যে দামোদর-মাইথন-পাঞ্চেত নদী জল বাড়ায় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) তিনদিন ধরে পানি ছাড়া শুরু করেছে।
এদিকে অলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানান হয়েছে, মঙ্গলবারে বিকেলের পরে ঘূর্ণাবর্তটি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এখন পর্যন্ত ডিভিসির এই পানি ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৪৪ হাজার কিউসেক। মঙ্গলবার তারা ৬৭ হাজার কিউসেক পানি ছেড়েছে। কয়েকটি জেলায় নদীর পানি বিপদসিমার ওপর দিয়ে বইছে।
এরফলে বর্ধমান, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা পানির তলায় চলে গেছে।
হুগলির আরামবাগ, বর্ধমানের বৈচি, নদিয়ার কল্যানির কিছু অংশে পানির তলায় চলে গেছে। ফলে বহু কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছে। অনেক মানুষের ঘরবাড়ি জলের তলায়। দুর্গত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় উঠে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছ।
এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাকরণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্র¿ী শ্যামল মন্ডল বুধবার কলকাতায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘বন্যা প্রতিরোধের সব রকম ব্যবস্থা তারা নিয়েছেন। ’
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সুন্দরবনের সন্দেশখালির ২ নম্বর ব্লকে। এখানে নদীর বাঁধে ৬০ মিটার ফাটল ধরেছে। এছাড়াও উত্তর নারায়ণগঞ্জ ও গোসাবায় কয়েকটি বাঁধে ফাটল ধরেছে। জরুরি ভিত্তিতে এগুলির মেরামত কাজ চলছে। ’
রাজ্য প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের সবং, পিংলা, নারায়ণগড়, দাঁতন, কোশিয়ারি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নামখানা, গোসাবা, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকা এখন পানির নীচে।
মালদার রতুয়া,দেবীপুর, মানিকচক ও হরিশচন্দ্রপুরে এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১