কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের দশ দিন আগেই শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশে নিয়ে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তের স্থলবন্দরে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে’র ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।
এদিন অনুষ্ঠানমঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘আমি হৃদয়কে বাজি রেখে গেলাম। ভারত-বাংলাদেশে সর্ম্পক আরো মজবুত হবে। পশ্চিমবঙ্গে আরও ইলিশ আসবে। আমরা রাজভোগ নিয়ে যাব। ওরা জামদানি পাঠাবে। আমরা পণ্য পাঠাবো। ’
পি চিদাম্বরম বলেন, ‘আশা করি, আমার জীবদ্দশায় রবীন্দ্র-নজরুলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আরও সুসংহত হবে দুই বাংলার সর্ম্পক। আরও বেশি মানুষ যাতায়াত করবে দু’দেশের মধ্যে। এই লক্ষ্যেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৭টি চেকপোস্টের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ’
এদিন সকালে হেলিকপ্টারে করে বনগাঁ স্টেডিয়ামে আসেন মমতা ও চিদাম্বরম। এর পর স্থলপথে তাদের কনভয় এসে পৌঁছয় পেট্রাপোলে বেলা ১১টায়। স্থলবন্দরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল বনগাঁ-শিয়ালদহ হয়ে আজমীর শরিফ পর্যন্ত রেল যাবে। এই স্বপ্ন পূরণ হলে বাংলাদেশের মানুষের সুবিধা হবে। ’
এদিন অনুষ্ঠানস্থলের পথে ৫০টি তোরণ নির্মান করা হয়। সেখানে শোভা পাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশাল কাটআউট। দু’পারে অনেক মানুষ এদিন এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। তবে, নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশের মানুষজন ও সাংবাদিকরা এপারে আসতে পারেননি।
পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্রায় ৮০ একর এলাকা জুড়ে ১৭৪ কোটি রুপি ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট। পাশাপাশি থাকছে ওয়ারহাউস, পার্কিং ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সুবিধা, যাত্রী প্রতীক্ষালয় সহ সব অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মকুল রায় ও রাজ্যের দুই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর।
ভারতীয় সময়: ১৯০০ ঘন্টা, আগস্ট ২৭, ২০১১