কলকাতা: মহানগরীরর বেহালার সাহাপুর মথুরানাথ হাইস্কুলে বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালীন রাজ্যের শাসক দল তৃণমুলের জোট সঙ্গী একমাত্র বামপন্থী দল এসইউসি’র ছাত্র সংগঠনের সমাবেশে খাবারের প্রলোভন ও কলকাতা চিড়িয়াখানা দেখানোর কথা বলে ছাত্রদের রাজনৈতিক সমাবেশ হাজির করার যে ঘটনা ঘটেছে তার ব্যাখ্যা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
কিভাবে স্কুলের ৫০-৬০ জন ছাত্রকে এসইউসি’র ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র নেতারা খাদ্যের প্রলোভন দেখিয়ে গাড়ি করে মিটিংয়ে নিয়ে গেলেন।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ওইদিন স্কুলের ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক সুদীপ্ত মন্ডল ছাত্রদের লিফলেট পড়ে শোনান। তিনি ছাত্রদের বলেন, ‘যাদের যাওয়ার ইচ্ছে তারা যেতে পারে। ’ তিনি নিজেও তাতে অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার সুদীপ্ত স্কুলে আসেননি। ফলে সন্দেহ আরও দানা বাঁধছে। এছাড়া ওই স্কুলের সাবেক ছাত্র রাহুল গোস্বামী গত সাত দিন ধরে স্কুলের বাইরে ক্যাম্পেন করে ।
যে ছোট ছোট ছাত্ররা রাজনীতির কিছু বোঝে না তাদের দিয়ে রাজনীতি করান হলো কেন? দরিদ্র ঘরের ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসে সে সুযোগও কি কাজে লাগান হয়েছিল যে তাদের মা-বাবারা কোন প্রতিবাদ করবে না? এমন সব প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে ঘটনাটি নিয়ে বৃহস্পবিার বেহালা সাহাপুর মথুরানাথ হাইস্কুলের স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রদের মা-বাবারা। এরপর এলাকার মানুষ স্কুলের ভেতরে ঢুকে শিক্ষকদের মারধর করে এবং জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। স্কুলে গুজব রটে যায় শিশুদের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে অভিভাবকেরা কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এলাকায় যান তৃণমূলের নেতা অরূপ বিশ্বাস।
পরে মিটিং শেষ হলে তারা অনেকেই ফিরে আসে। বাকিদের পুলিশ উদ্ধার করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১১