ঢাকা: তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে দূরত্বটা এমনিতেই অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু বন্ধু তৃণমূলের সঙ্গে এ দূরত্বটা আর বাড়তে দিতে চান না মনমোহন সরকার।
সোমবার কলকাতার একটি সংবাদ মাধ্যম এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে শনিবার জাতীয় সংহতি পরিষদের বৈঠকে ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিল’ নিয়ে ভারত সরকারকে বিব্রত হতে হয়।
এর মূল কারণ ছিলো পশ্চিমবঙ্গের বিরোধিতা। তাই এ বিষয়ের জন্য কংগ্রেসের অনেক নেতাই মমতার সঙ্গে দলের রাজনৈতিক যোগাযোগের অভাবকেই ইঙ্গিত করেছেন।
টু-জি কেলেঙ্কারি, আন্না হাজারে ইস্যুসহ একের পর এক ইস্যুতে মনমোহন সরকার এখন মহাচাপে রয়েছে। তাই শরিকদের পাশে পাওয়া এখন তাদের অনেক বেশি দরকার।
এরই মধ্যে ইউপিএ’র বেশ কয়েকটি শরিকদল কংগ্রেসের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গকে রাগিয়ে আর জলঘোলা করতে চান না মনমোহন সিং।
তৃণমূল নেত্রী মমতা যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করতেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু মমতা পরবর্তীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় এবং অর্থমন্ত্রীর ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে যোগাযোগ হ্রাস পায়।
তাই মমতার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার কাজে প্রাথমিকভাবে অম্বিকা সোনি ও জয়রাম রমেশের নাম ভেবেছেন মনমোহন।
সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (এসআরএফটিআই) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অম্বিকা সোনি। তাই তাকে মমতার সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ করে আসার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওইদিন বেলা সাড়ে বারোটায় মমতার সঙ্গে অম্বিকার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই বৈঠকে তিস্তা চুক্তি নয়, প্রাধান্য পাচ্ছে দু’দলের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার।
কারণ ইউপিএ’র অন্যতম বড় শরিক পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১১