কলকাতা: সিকিমে ভূমিকম্প দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সড়ক পথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মঙ্গলবার দুপুরে গ্যাংটকে যান।
তিনি সেখানে মনিপাল হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে মমতা সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে সিকিম যাওয়ার পথে মাঝে মাঝেই তিনি জাতীয় সড়কে কনভয় থামিয়ে উদ্ধারকাজ তদারকি করেন। এই সময় তার সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায় ও রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ।
এদিকে, ভারতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সিকিমেই মারা গেছে ৫৮ জন, বিহারে ২০ জন ও পশ্চিমবঙ্গে ১২ জন বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব আর কে সিং।
ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ চলেছে সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহারে। সরকার হেলিকপ্টারের সাহায্যে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে সিকিমের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়।
নয়াদিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র সচিব আর কে সিং আরও জানান, চিকিৎসকসহ দুটি মেডিক্যাল টিম হেলিকপ্টার করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সিকিমের মাংগান সাংথানে পাঠান হয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, ‘৯টি হেলিক্টার উত্তরের জেলাগুলিতে উদ্ধার কাজের জন্য রাখা হয়েছে। উদ্ধার কাজে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাত লাগিয়েছে। গ্যাংটকের সড়ক পরিস্কার হয়ে গেছে। সেখানে যানবাহন চলাচল করছে। শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। ’
স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে জানান হয়েছে ৫,০০০ সেনাবাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠান হয়েছে। ৬টি পণ্যবাহী বিমান ও ১৫টি হেলিকপ্টার সিকিমে উদ্ধারকাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
গ্যাংটকের সঙ্গে উত্তর সিকিমের যোগাযোগের রাস্তা অনেক জায়গায় ধসে বন্ধ হয়ে আছে। তিন ব্যাটেলিয়ান সেনাবাহিনী এবং এক ব্যাটেলিয়ান ইন্দো-তিব্বত বর্ডারে পুলিশ নিয়ে মোট ৪ হাজার ৫শ সেনা সেখানে মজুত আছে। তিব্বতের সীমান্তের দুর্গম জায়গায় পৌঁছান খুব মুশকিল কারণ সেটা চিনের সীমান্ত এলাকা।
আইএএফ হেলিকপ্টার এমআই-১৭ উদ্ধার নিয়ে লাচেন এবং মাংগানে পৌঁছেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এলাকায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের চেষ্টায় ৩১ নম্বর হাইওয়ে পরিস্কার করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি থেকে জানা গেছে, বুধবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী গ্যাংটকে আসছেন সিকিমের পরিস্থিতি দেখতে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১১