কলেজের রেজা আলি ওয়াশাথ হলে এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
স্মারক বক্ততায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধু একটি নাম। একটি আদর্শের ইতিহাস। যে বন্ধুর জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি এক হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল।
‘সেই মাটি ও দেশের মানুষ হিসেবে আমি গর্বিত। তার আদর্শ আমার এবং আমাদের অন্তরে চির জাগ্রত। ’
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনুষ্ঠানের অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, তখন আমি ছাত্র। দীর্ঘদেহী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন গাম্ভীর্য ভরা কন্ঠে, উনার (বঙ্গবন্ধু) চোখে চোখ রেখে কথা বলতে আমি কাউকে দেখিনি। আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো ৭ মার্চের ভাষণে চাক্ষুস অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম দর্শক আসনে বসে। এরপর তাকে একাধিকবার সামনে থেকে দেখেছি।
ছবি: বাংলানিউজ
‘তিনি ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সব সময় কর্মী হয়ে কাজ করে গেছেন। গোটা বিশ্বে তেরোশ’ গ্রন্থ রচনা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। রয়েছে অসংখ্য গান ও কবিতা। ’তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অধিনায়কত্ব সূলভ সহৃদয়, মনুষ্যত্বপূর্ণ ও উদারচিত্তের নেতা বিশ্বে বিরল। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন সারা বিশ্বের জন্য একজন অনুকরণীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিজয় কৃষ্ণ রায় বলেন, নেতৃত্ব প্রদানের অপরিসীম গুণাবলীর আঁধার ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি কৈশোর থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাঙালির কল্যাণের কথা ভেবেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘চিরঞ্জিব বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তথ্যচিত্রটি দেখে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন হল ভর্তি দর্শক।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) শাহানাজ আখতার রানু।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
ভিএস/এমএ