ঢাকা: সরকারি হাসপাতালে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে বসবেন তা হবে না। এসব চিকিৎসকদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমেছে সরকার।
সরকারি চিকিৎসকদের লাগামছাড়া প্রাইভেট প্র্যাক্টিস থামাতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে হঠাৎ করেই পরিদর্শন শুরু করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
কাজের সময় কোনো সরকারি চিকিৎসককে হাসপাতালে না পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করছেন তারা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নাম ফাঁকিবাজদের তালিকায় উঠে গেছে।
এর আগে বামফ্রন্ট সরকার ১৯৯০ সালে সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিস নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে তাদের আমলেই কিছু শর্ত সাপেক্ষে ফের অনুমতি দেওয়া হয়।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাসপাতালে ডিউটির নির্ধারিত সময়ের পর প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে যাওয়া যাবে, কে কোথায় প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করছেন, তার তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে থাকবে, হাসপাতালের ২০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করা যাবে না, রোগীর প্রয়োজনে প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে না গিয়ে হাসপাতালে থাকতে হবে।
কিন্তু সরকারি চিকিৎসকরা এসব শর্ত উপেক্ষা করেই প্রাইভেট প্র্যাক্টিস চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এ বিষয়টি আর বেশিদূর যেতে দিতে চায় না রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ কোনো চিকিৎসক কতটা সময় হাসপাতালে থাকছেন বা থাকছেন না, সেটা জানা তাদের পক্ষে তুলনামূলকভাবে সহজ। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী বলে সব জেনেও চুপ করে থাকেন। এবার তাদের দায়বদ্ধতাও বাড়ানো হবে। শুধু সেই চিকিৎসক নয়, তলব করা হবে সুপার এবং বিভাগীয় প্রধানদেরও। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১১