কলকাতা: জেলা সফরে বেরিয়ে দার্জিলিং-এ এসে পাহাড়বাসীদের একগুচ্ছ উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দার্জিলিংকে ‘বাংলার স্বর্গ’ হিসেবে তুলে ধরতে তিনি যে বদ্ধপরিকর, তা ফের একবার এদিন স্পষ্ট করে দিলেন।
এদিন দার্জিলিং ম্যালেতে পর্যটন মেলার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘ গত ৩০ বছর বঞ্চিত রয়েছে দার্জিলিং। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা, সব কিছুতেই পিছিয়ে পড়েছে পাহাড়বাসী। ’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার উন্নয়নে ৩০টি আপার প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়বে সরকার। পাশাপাশি ১৭টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি হবে। এছাড়াও সুখিয়াপোখারি ও কালিংপংয়ে তৈরি হবে দুটি মডেল স্কুল। ৫৫টি স্কুলের মানোন্নয়ন হবে। এবং আগামী দু’বছরের মধ্যে প্রতিটি স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা ও কম্পিউটার বসানো হবে। ’
সম্প্রতি ভূমিকম্পে পাহাড়ের ব্যাপক ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন মমতা ব্যানার্জি এর জন্য ইতোমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের কাছে ৫০০ কোটি রুপি অনুদান চেয়ে চিঠি দিয়েছে রাজ্যসরকার একথা তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ি ও পানীয় জল এবং রাস্তাঘাট মেরামতের জন্য ৫৬ কোটি রুপি করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, আরও বেশি পর্যটক আনতে ম্যালের সৌন্দর্য্যয়ানের উপর জোর দেওয়া হবে। এর জন্য ১০ কোটি রুপি খরচ করা হবে। লেবং-এ একটি স্টেডিয়াম তৈরী হবে। ’
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থাকতেই মমতা পাহাড়ের সৌন্দর্য্য ও উন্নয়নের কথা বলে আসছিলেন। এদিন তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের উন্নয়নে চুক্তি হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ চলছে। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পর্যটকদের টানার জন্য তৈরি করা হবে পর্যটনের তথ্য কেন্দ্র। ২০ ডিসেম্বরে হবে কমলালেবু ও চা উৎসব। তৈরি হবে রবীন্দ্রনাথ ও নেপালি কবি ভানুভক্ত’র নামে অ্যাকাডেমি। পর্যটনের জন্য ৪টি রোপওয়ে হবে। ’
এদিনও তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সাবেক বামফ্রন্ট সরকারের সমলোচনা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘যারা ভাবছেন শুধুমাত্র রাজনীতি করতেই এখানে এসেছি তারা ভুল ভাবছেন। রাজনীতি করতে এখানে আসিনি আমি। ’
ভারতীয় সময়: ২২১০ ঘন্টা, অক্টোবর ১১, ২০১১